পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহেল ও নুর ইসলাম নামে দুই ব্যক্তি চোর সন্দেহে দেওড়া এলাকা থেকে রনিকে আটক করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সোপর্দ করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাজতের বাথরুমে রনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টঙ্গীর শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার হৃদ স্পন্দন ও রক্ত সঞ্চালন না পাওয়ায় তড়িঘড়ি করে গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশের দাবি, রনি মাদকাসক্ত। মাদকের টাকা জোগাড় করতে চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল সে।
শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যায় আসামি রনি। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিষ চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা তার হৃৎস্পন্দন ও রক্তসঞ্চালন না পাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।’
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, দুপুরে রনির স্ত্রীসহ কয়েকজন ব্যক্তি তাকে চোরাই মালামালসহ থানায় দিয়ে যায়। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। সন্ধ্যায় হাজতে অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য রনিকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
ওসি আরও বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন রনি মারধরের কোন কথা বলেননি। যারা থানায় দিয়ে গেছে তারাও মারধর করার কোন তথ্য জানাননি।’
আর তার শরীরের আঘাতের চিহ্নগুলো পুরোনো বলে দাবি করেন তিনি।