ইতিহাস বদলানোর চ্যালেঞ্জে প্রথম ম্যাচেই তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ! অধিনায়ক লিটন দাসের টস জয়। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনার জন্য মঞ্চটা যেন তৈরি ছিলো। তবে তৈরি মঞ্চেও সাবধানী ক্রিকেট খেলেছে টাইগার শিবির।
বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার হারানোর লক্ষ্য নিয়ে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি হংকংয়ের। নো বল দিয়ে শুরু করলেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেয়াটা অলিখিত নিয়ম বানিয়ে ফেলেছেন তাসকিন আহমদ। দলীয় ৭ রানেই তাসকিনের গতিতে স্লিপে ধরাশায়ী অ্যান্শি রাঠ। আর স্কোর বোর্ডে হংকংয়ের যখন ৩০ রান, বাবর হায়াতের স্টাপ উড়ান তানজিম সাকিব।
আরও পড়ুন:
জিসান আলী-নিজাকাত খানের জুটিতে উইকেট পতনে ছেদ পড়লেও হংকংয়ের রান তোলার গতি ছিল না। জিসান আলী ফেরার পর অধিনায়ক ইয়াসিম মুরতাজা আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন তবে অন্যপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ায় শেষদিকে তাসকিনদের এলোমেলো বোলিংয়ে পরও ১৪৩-এ থামে হংকংয়ের দলীয় স্কোর।
বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ের শুরুটাও আপ টু দ্যা মার্ক না হয়নি টাইগারদের। পারভেজ ইমন-তানজিদ তামিম চার-ছয়ের দেখা পেলেও উইকেট সেট হয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বড় ইনিংসটি খেলতে। তানজিদ তামিমের পর লিটন-হৃদয়দের অতি সাবধানি ব্যাটিং কিছুটা হলেও শঙ্কায় ফেলেছিলো ফিল সিমন্সের দলকে। হংকংয়ের বোলারদের পাশাপাশি আবুধাবির গরমও যেন প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের। বারবার মাঠে বসে পড়া লিটনদের দেখে স্পষ্ট ধরা পড়েছে ফিটনেসের চ্যালেঞ্জ।
তবে একপ্রান্তে তাওহীদ হৃদয় স্ট্রাগল করলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চেনা রূপে ফিরেছেন লিটন। প্রথম ২৫ বলে ২৪ রান করা লিটন পরের ১৫ বলে নিয়েছেন ২৫ রান। ৬ চার আর ১ ছয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলের জয়ের পথ সুগম করেছেন। এই জয়ে এশিয়া কাপের সূচনা দারুণ হলো বাংলাদেশের তবে আসল চ্যালেঞ্জ শুরু ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।