ফেসবুক পোস্টে ফারিয়া লেখেন, ‘সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা, যারা আমার পাশে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে।’
আজ দুপুরে নুসরাতের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই শেষে তাকে বেলা ৩টা ২৮ মিনিটে মুক্তি দেওয়া হয়। তারপর তিনি স্বজনদের সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে চলে আসেন। এ সময় কারাগারের সামনে সাংবাদিকেরা অপেক্ষমাণ থাকলেও নুসরাত কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে অতি গোপনে বেরিয়ে যান।

নুসরাত ফারিয়ার ফেসবুক পোস্ট
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় করা মামলায় নুসরাত আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামিন পান। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গতকাল (সোমবার) সকাল ৯টার দিকে নুসরাতকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে তাকে এজলাসে উপস্থিত করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল ভূঁইয়া নুসরাতকে কারাগারে পাঠানোর এবং তার আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন বিষয়ে আরো শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করেছিলেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে নুসরাতকে ঢাকা থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ভাটারা থানা এলাকায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি। ২৮ এপ্রিল আদালতের আদেশের পরদিন ভাটারা থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়। এতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে চিত্রনায়িকা নুসরাতকে আসামি করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করেন। তাদের ছোড়া গুলিতেই বাদী এনামুলের ডান পায়ে গুলি লাগে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।