সরকার নির্ধারিত মূল্যে দাম পাচ্ছেন না নোয়াখালীর কৃষকরা

নোয়াখালী
কৃষি
অর্থনীতি
0

নোয়াখালীর হাতিয়ায় এ বছর ব্যাপক আমনের ফলন হয়েছে। মাঠজুড়ে চলছে ধানকাটার কর্মযজ্ঞ। তবে, পরিবহনের বাড়তি খরচের অজুহাতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা।

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় চলতি আমন মৌসুমে ৭৭ হাজার ৩৩৪ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী জাত আবাদ হয়েছে ৫৬ হাজার ৯৫৪ হেক্টর এবং স্থানীয় জাত আবাদ হয়েছে ২০ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে। কেবল নিঝুম দ্বীপেই আমন আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ১৮১ হেক্টর জমিতে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ফলন নিয়েও খুশি কৃষকেরা। উপজেলার ফসলের মাঠজুড়ে চলছে ধানকাটার উৎসব। কৃষকরা বলেন, এবছর ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল অনেক ভালো হয়েছে। এবছর কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ মণ ধান পাবো।

তবে, ফলন ভালো হলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষক। উপকূলজুড়ে বীজ, সার ও কীটনাশক বাড়তি দামে কিনতে হলেও পরিবহনের বাড়তি খরচের অজুহাতে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের অনেক কমে। সরকারিভাবেও ধান সংগ্রহে নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। ধানের দাম কমে যাওয়ায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বর্গা চাষিরা। তারা বলছেন, প্রতি মণ ধান উৎপাদনে গড়ে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ পড়লেও মণপ্রতি বিক্রি করতে হচ্ছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ৮০ টাকায়।

ধান বিক্রি করতে আসা এক কৃষক বলেন, ‘মণপ্রতি ১ হাজার ৮০ টাকায় বিক্রি করে আমাদের ২০০ টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার থেকে অনেক কমে বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের।‘

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবছর প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে ২.৬ টন ফলন পাওয়া যাচ্ছে। কেবল নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৭ হাজার ২৫৭ হেক্টর স্থানীয় জাতের আমন ধান কাটা হয়েছে যাতে ১৮ হাজার ৮৬৮ টন ফলন পাওয়া গেছে।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ সবুজ জানান, ‘মাঠে যে ধান হয়েছে তার ২০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে, আশা করি এক মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ ধান কাটা সম্পন্ন হবে।‘

সরকারিভাবে সরাসরি চাষিদের থেকে ধান সংগ্রহ করা হলে কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাবেন এমন প্রত্যাশা তাদের।

এসএস