আজ (বৃহস্পতিবার, ১৫ মে) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘দুইদিন আগে মালয়েশিয়ায় তিনজন মন্ত্রীর সাথে বৈঠক হয়েছে। সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, হিউম্যান রিসোর্স মন্ত্রীর সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে, এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকগুলোর ফলে বেশ কিছু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত বন্ধু। তাদের মধ্যে সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে গত বছর যে শ্রমিকরা শেষ মুহূর্তে মালয়েশিয়া যেতে পারেনি তাদেরকে তিনি মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ করে দেবেন। এর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭ হাজারের মতো। প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে আমাদের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে এবং মালয়েশিয়ার মন্ত্রীরা জানিয়েছেন তারা ব্যাচভিত্তিতে শ্রমিক নেবেন।’
প্রথম ব্যাচ হিসেবে তারা সাত হাজার ৯২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘খুব অল্পসময়ের মধ্যেই তাদেরকে মালয়েশিয়া কাজ করার সুযোগ দেয়া যাবে এবং ইতোমধ্যে এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি যে, মালয়েশিয়া এক থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নিতে পারে। লোক নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারে মালয়েশিয়ার হিউম্যান রিসোর্স মিনিস্টার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। বাংলাদেশ থেকে উনারা সব থেকে বেশি লোক নেবেন এই আশ্বাস আমরা পেয়েছি।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আরেকটা বড় অগ্রগতি যেটা হয়েছে সেটা হল মালয়েশিয়ার ইন্টেরিয়র মন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করেছিলাম যে, অন্যদেশের শ্রমিকরা পেলেও আমাদের শ্রমিকরা মাল্টিপল ভিসা পায় না। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে এবং আলোচনাকালে সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের তিনি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং আমি বলেছি মালয়েশিয়ায় যে শ্রমিক ভাইরা অনিয়মিত হয়ে গেছেন তাদেরকে রেগুলাররাইজ অথবা বৈধ করা যায় কি না সে ব্যাপারে কি করা যায়। উনারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই বিষয়টিকে নিয়ে তারা আলাদাভাবে ভেবে দেখবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী এবং এতটা ফলপ্রসূ যে একটি আলোচনা হল এতে ব্যক্তিগতভাবে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা আছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন, বৈঠকে বসছেন এবং তার কথা মতই আমরা কাজ করছি।’
খুব শিগগিরই মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কল্যাণকর কিছু পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি দেশবাসীর কাছে এ বিষয়ে দোয়া চান।