বাংলাদেশি পরিবার-পরিজনের মুখে হাসি ফোটাতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন দেড় কোটিরও বেশি প্রবাসী। রেমিট্যান্সকে বলা হয় বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য জাতীয় বাজেটে রাখা হয় না তেমন কোন বিশেষ বরাদ্দ।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে প্রবাসীদের প্রত্যাশা অনেক। নতুন বাজেটে রেমিট্যান্সের উপর প্রণোদনা বৃদ্ধি, প্রবাস থেকে দেশে ৫টি মোবাইল ফোন নেয়ার সুযোগ দেয়া এবং মরদেহ রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে পাঠানোর দাবি জানান প্রবাসীরা।
প্রবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে, বর্তমানে প্রবাসীদের যে রেমিট্যান্স সেটার ওপর যেন ৫ শতাংশ দেয়া হয়।’
আরেকজন প্রবাসী বলেন, ‘কেউ মারা গেলে তার লাশ নিয়ে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে লাশ দেশে পাঠাতে হয়। সরকারের কাছে আমরা অনুরোধ করবো যেন, লাশ বিনা-পয়সায় আমরা দেশে পাঠাতে পারি।’
গেল অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। যা এখন পর্যন্ত কোনো একক অর্থবছরে রেমিট্যান্স আয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা কারণে হুন্ডি ও অর্থপাচার কমার পাশাপাশি বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। আসছে বাজেটে প্রণোদনা বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ করা হলে আরও ব্যাপকভাবে রেমিট্যান্স যাবে বলে মনে করছেন প্রবাসীরা।