কোরবানির প্রথম দিন দুপুর থেকে চামড়া আসতে শুরু করেছে লালবাগের পোস্তায়। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া নিয়ে আসছেন এখানে। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে ক্ষুব্ধ মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা।
আড়তদারদের দাবি, শ্রমিক ও অন্যান্য খরচ বাড়াতে কাঁচা চামড়ার দাম কিছুটা কম ধরছেন তারা। সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পনগরী স্থানান্তরের পর কমেছে পোস্তার জৌলুস। এবার প্রায় ৩৫টি আড়তে চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি রয়েছে।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এবার ৮০-৮৫ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা তাদের। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, এবারও লবণে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, সারাদেশের চামড়া ব্যবসায়ীদের সঠিক উপায়ে সংরক্ষণের আহ্বান।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, ‘পোস্তার আড়তদাররা প্রস্তুত। পর্যাপ্ত লবণ মজুদ রয়েছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে অনেক বড় ব্যবসায়ী চামড়া কিনবে না, অনেকেই আত্মগোপনে আছেন। ব্যাংকগুলো ঋণ সীমিত করে দিয়েছে, ফলে বাজারে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার চামড়ার দাম গড়ে ৫–৭ টাকা বাড়ালেও টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা চামড়ার গুণগত মানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এ বছর পোস্তায় প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ চামড়া সংরক্ষণ হতে পারে, যা আগে হতো আড়াই থেকে ৩ লাখ। এতে একটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।’