প্রশাসক জানান, অবকাঠামো উন্নয়ন, পানি সরবরাহ, ড্রেন নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি উন্নয়ন, ক্রীড়া ও বিনোদন সুবিধা বৃদ্ধি, পরিবেশ সুরক্ষা, যানজট নিরসন, সড়কবাতি উন্নয়ন এবং তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করাই এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য।
বৈদেশিক সহায়তায় পরিচালিত প্রকল্পের আওতায় ২০ কিলোমিটার পানির সঞ্চালন লাইন, ৩০০ কিলোমিটার বিতরণ লাইন স্থাপন, স্মার্ট মিটার সংযোগ, ৩৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, পার্ক ও কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করা হবে। এরইমধ্যে জালকুড়িতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণ শেষ হয়েছে এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কদমরসুল এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণে ২৩৪ কোটি টাকা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্ন-কর্মীদের জন্য ৩৬৯টি ফ্ল্যাট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন:
অন্যদিকে, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে নাগবাড়িতে সাধু নাগ মহাশয় মন্দির পুনঃনির্মাণের কাজ চলছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে ৩৪টি ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ স্থাপন কাজও চলমান রয়েছে।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে নগরবাসীকে নিজ বাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানান প্রশাসক। পাশাপাশি তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জকে একটি পরিবেশ-বান্ধব, গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধে সকলের সহযোগিতা অপরিহার্য।
বাজেট ঘোষণার অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে মতামত প্রদান করেন। প্রশাসক সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে নগর উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।