ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের ফলে যারা কর দেয় তাদের নৈতিকতায় আঘাত করা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দ হ্রাস পাওয়া উদ্বেগজনক বলে মনে করেন তিনি।’
এদিকে বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কারের প্রতিফলন নেই বলেও মনে করে সংস্থাটি।
২০২৫-২৬ বাজেট এবারের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। গতকাল সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহেমেদ এই অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন। বাজেট পরবর্তী বিভিন্ন মহল প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে।
আজ (মঙ্গলবার, ৩ জুন) সকালে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে।
বাজেটে জমি কেনায় কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাবের সমালোচনা করে সিপিডি বলে, ‘এই সুযোগ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপরীত।’
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘কালো টাকাকে সাদা করার যে প্রস্তাব সেটা একেবারেই বন্ধ করা উচিত। এটা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয় এবং আমরা করিও না। যারা সৎ করদাতা তাদের জন্য এটা একটা অনুৎসাহ হিসেবে কাজ করে এবং তাদের নৈতিকতার উপর এটা একটা আঘাত বলে আমরা মনে করি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটে কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমেছে, যা উদ্বেগজনক বলে মনে করছে সিপিডি। মেগা প্রকল্পের কাজের গতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে সংস্থাটি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এগুলোতে বরাদ্দ কম, এটা চিন্তার কারণ। এ কারণে আমরা মানবসম্পদ উন্নয়নের কথা বলছি। কৃষি খাতের বরাদ্দের সাথে খাদ্যের নিরাপত্তাটা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।’
এ ছাড়াও, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এনবিআরের সংস্কারের বিষয় প্রতিফলিত হয়নি বলে মনে করে সিপিডি। করমুক্ত আয়ের যে সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে তা আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়িয়ে দেবার পূর্বাভাস।
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাজেটের সামগ্রিক বিবেচনা করলে আমাদের অনুমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবে সেটা কিছুটা হতাশাজনকও বটে।’
এসময় এই বাজেটে সুনির্দিষ্টভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ না রাখার সমালোচনাও করে সিপিডি।