যশোরে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে বরই চাষ

কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
অর্থনীতি
0

অনুকূল আবহাওয়া ও ভালো দাম পাওয়ায় যশোরে বাড়ছে বাণিজ্যিকভাবে কুল আবাদ। এবার জেলার অন্তত ৪৯৮ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকার কুল বিক্রির আশা কৃষি বিভাগের।

দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু যশোরের কাশ্মিরী আপেল, বলসুন্দরী, থাই আপেলসহ বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুল।

ঝিকরগাছা উপজেলার মানিক আলী গ্রামের সামছুর রহমান ২০২০ সালে ৬ বিঘা ৫ কাঠা জমিতে কুল আবাদ করেন। ভালো লাভ পাওয়ায় বেড়েছে তার চাষের পরিধি। এবছর ৮ বিঘা জমিতে সামছুর রহমানের কুল আবাদে খরচ হয়েছে ২ লাখ টাকা। যেখান থেকে অন্তত ৫ লাখ টাকা লাভের আশা তার।

সামছুর রহমান বলেন, 'এটা খুব লাভজনক ফসল। আবহাওয়া ভালো থাকলে লাখ লাখ টাকার কুল বিক্রি সম্ভব।'

তার মতো কুল আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এ অঞ্চলের অনেক কৃষক। কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারও মানুষের। যারা আগে ছিলেন, ধান, পাট, গম, সবজি ও ফুল চাষি।

চাষিরা বলেন, 'কুল চাষে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। এতে ঝুঁকি কম। এ বছর ফলন ও কুলের দাম বেশি।'

স্থানীয় বাজারে মান ভেদে প্রতিকেজি কুল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকায়। ভালো মানের পাশাপাশি প্রচুর ফলনও হওয়ায় এখানকার বিষমুক্ত কুল সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

সহজ চাষ পদ্ধতি ও রোগের উপক্রম কম হওয়ায় কুল আবাদ ঝুঁকিহীন। তাই কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক প্রতাপ মন্ডল। বলেন, 'আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করেছি। এবার বাজারমূল্য বেশি থাকায় কুল চাষিরা লাভবান হয়েছে।'

এ বছর জেলার অন্তত ৪৯৮ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে। যেখান থেকে ৬ হাজার ৪৭৪ টন কুল উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের।