আন্তর্জাতিক মানে তৈরি হচ্ছে এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক

টাঙ্গাইল
এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক
পরিষেবা
অর্থনীতি
0

চারটি আন্তর্জাতিক করিডর যুক্ত হবে এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক। প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে চার লেনে উন্নীত হচ্ছে এই মহাসড়ক। এরইমধ্যেই রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার এ মহাসড়কের সামগ্রিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই চলছে এই মহাসড়কের কাজ। এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হতে সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন বা সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কটির নির্মাণকাজ চলছে পুরোদমে।

তবে, দেশের প্রথম ডিজিটাল এ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ থেকে রংপুর পর্যন্ত অনেকটাই দৃশ্যমান। কিন্তু, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রকল্পের ফেইজ-৫ অংশে নেই তেমন অগ্রগতি। শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা চোখে পড়লেও ১৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ।

মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল পর্যন্ত দেড় ঘণ্টার পথটি পাড়ি দিতে কখনও কখনও সময় লাগছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। এতে অপচয় হচ্ছে সময় ও অর্থের।

আরো পড়ুন:

যাত্রী ও চালকরা বলছেন, 'চার লেন হয়ে গেলে আমরাও স্বস্তি পাবো। যানজট পোহাতে হবে না।'

২০১৬ সালে একনেকে অনুমোদনের পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফেইজ-৫ বা টাঙ্গাইল অংশের কার্যাদেশ পায় দেশিয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। যার নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করার কথা। তবে, এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে দিন-রাত কাজ চলছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলী আব্দুল রাজ্জাক জানান, 'নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। এজন্য আমরা রাত বারোটা পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।'

আর প্রকল্প পরিচালক মো. রবিউল ইসলামের দাবি ফ্লাইওভার, 'আন্ডারপাস ও সার্ভিস লেনসহ যাবতীয় কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে।'

সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় ১৩ দশমিক ৬ কিলোমিটারের এ অংশে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০১ কোটি টাকা। যার প্রতি কিলোমিটারে সম্ভাব্য ব্যয় ৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

এসএসএস