শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অনেক শিক্ষকের ওপর হামলা হয়েছে। তাদের লাঞ্ছিতও করা হয়। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লাঞ্ছিতকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা না হলে শিক্ষাকার্যক্রমের পাশাপাশি সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
দ্বিতীয় দিনের মতো খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছেন। এ কারণে কুয়েটে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা। শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী ও লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তির দাবিতে শিক্ষকরা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
সংকট নিরসনে কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. হযরত আলী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভা করেছেন। সভায় কুয়েটের শিক্ষাকার্যক্রমকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কীভাবে গতিশীল করা যায়, এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে কুয়েটের এই অচলাবস্থা। সিন্ডিকেট সাভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।