ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার ২য় দিন এমন চিত্র চোখে পড়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায়। সকালে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে লিফলেট হাতে সানজিদা আহমেদ তন্বিকে। যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আইকনিক চরিত্র হিসেবে বেশ পরিচিত। স্বতন্ত্র ভাবে দাঁড়িয়েছেন ডাকসুর গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে।
ডাকসুর গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদপ্রার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আশার অতীত সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই আমাকে দেখে চিনতে পারছেন। তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে যে আমি এ লাইনটাতে কাজ করছি। সবকিছু মিলিয়ে ভালো লাগছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এত সাড়া পাব আমি ভাবিনি।’
এদিন, অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও চোখে পড়ে প্রচারণা চালাতে। তারাও দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।
ডাকসুর এজিএস প্রার্থী তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি যেটা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক প্যানেলগুলো নিয়ে তারা অনেকেই সন্দিহান। আমার কাছে মনে হয়েছে সে প্যানেলগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্যানেলগুলোর ওপর ভরসা রাখতে পারছে না।’
হল সংসদের প্রার্থীরাও হলে হলে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। হল সংসদের প্রার্থীরা জানান, তারাও পিছিয়ে নেই। তারাও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কাছে যাচ্ছেন, প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহার শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো বুঝাতে পারলে ভোটাররা আশ্বস্ত হয় বলেও জানান হল সংসদের প্রার্থীরা।
দুপুরে প্রচারণায় দেখা যায় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের। এ সময় ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান জানান, ৯০ এর পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাওয়ার কথাও জানান আবিদ।
আরও পড়ুন:
ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘যথেষ্ট উচ্ছ্বাস দেখতে পাচ্ছি শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এখন পর্যন্ত যে কয়দিন প্রচারণা চালিয়েছি আমরা ভোটাররা অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত আমাদের নিয়ে। সম্ভবত নব্বই এর পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রশাসন প্রভাবিত, পক্ষপাতিত্ব আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন। । ডাকসুর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে জানান তিনি।
ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা হয়ে গেছে এখনো ব্যানার ফেস্টুনগুলো ঝুলছে। অথচ আমাদের বলা হয়েছে এগুলো নিয়মের মধ্যে নেই।’
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এরপরেও যাতে একটা মডেল সেট হয় ডাকসুতে। আমরা দীর্ঘদিন গণতন্ত্র বঞ্চিত। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারে না, বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিতে পারেনি। অন্তত ডাকসুর মাধ্যমে বাংলাদেশে ভোটের চর্চা শুরু হোক। আমরা আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীরা সে মডেলটা সেট করবে বাংলাদেশের জন্য।’
৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।