এ সময় শিক্ষার্থীরা চলমান প্রকৌশল আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নতুন ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো—
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আন্দোলনকারীদের সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে ও জবাবদিহি করতে হবে। ডিসি মাসুদের বক্তব্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের হাতে ছুরি থাকার প্রমাণ দিতে হবে। প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে তাকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। পূর্বে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করা হলো। অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত তিন দফা নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন করতে হবে। হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৌশল আন্দোলনের অন্যতম নেতা রোকন ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন:
সমাবেশে অংশ নেয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হৃদয় হোসাইন বলেন, ‘পুলিশ হামলা চালিয়ে আমাদের ন্যায্য আন্দোলন দমন করতে চায়। কিন্তু আমরা ভয় পাই না। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী তানবীর ইসলাম তামিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র ছিলো-এমন মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে। আমরা এর সঠিক জবাব চাই। প্রমাণ দিতে না পারলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, ‘প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে দমন করার জন্য যে বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। ন্যায্য অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ভয় দেখিয়ে কিংবা দমনপীড়ন চালিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না।’
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ন্যায্য দাবির পক্ষে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং কোনো ধরনের দমনপীড়ন তারা মেনে নেবেন না।