শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে অপপ্রচারের দাবি; ছাত্রশিবিরের নিন্দা ও হুঁশিয়ারি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের লোগো
ক্যাম্পাস
শিক্ষা
0

একজন নারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সংশ্লিষ্টতার তথ্যকে মিথ্যা অপপ্রচার দাবি করে এর নিন্দা ও হুঁশিয়ারি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ (মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এক যৌথ বিবৃতিতে নিন্দা ও হুঁশিয়ারি জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সম্প্রতি যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত। নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রশ্নে নিজেদের কলঙ্ক ঢাকতে ছাত্রদল এখন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে জড়িয়ে নোংরামি করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতারা বিভিন্ন সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং, স্লাট-শেইমিং, ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত। নারী শিক্ষার্থীদের মানসম্মান ধ্বংস করার নোংরা রাজনীতিতে ছাত্রদল ফ্যাসিস্ট ছাত্রলীগের মতোই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। 

ছাত্রদলকে উদ্দেশ করে বলা হয়, তাদের হাতেই ২০০২ সালে বুয়েটের মেধাবী নারী শিক্ষার্থী সাবেকুন্নাহার সনির রক্ত লেগে আছে। ছাত্রদলের হাতেই ঢাবির শামসুন্নাহার হলে ২০০২ সালে শতশত নারী শিক্ষার্থী নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়। অথচ আজ তারাই উল্টো ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করছে—যা ধৃষ্টতা ও মিথ্যাচারের সীমা অতিক্রম করে।

আরও পড়ুন:

আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি—অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনোভাবেই ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত নয়, বরং তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে শাস্তির আওতায় আনে। অপরাধীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকেই।

ছাত্রশিবির নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সম্মানের প্রশ্নে কখনোই আপস করে না উল্লেখ করে বলা হয়, নারী নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল বিষয়কে ব্যবহার করে সস্তা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে থাকা ছাত্রদলের আসল চেহারা আজ সবাই চিনতে পেরেছে।

ছাত্রদলকে হুঁশিয়ার করে বলা হয়, ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা থেকে বিরত থাকুন। কোনো কিছু হলেই শিবিরকে দায় দিয়ে দাও—এর মতো জঘন্য দেউলিয়াপনার রাজনীতি বন্ধ করুন। ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওপেন ইনফরমেশনের এ যুগে শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করে দেবে, নারী নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল ইস্যুতে অপপ্রচারের জবাব কীভাবে দিতে হয়।

এসএইচ