দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু ও করোনা রোগীর সংখ্যা। আজ (রোববার, ১৫ জুন) ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড ১৯ হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর অতিরিক্ত ভিড় দেখা গেছে। যার মধ্যে জ্বর ঠাণ্ডা,গলা ব্যথা,সর্দি,কাশির রোগী ছিল বেশি। হাসপাতালে কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরার জন্য ছিল কঠোর নির্দেশনা। চাপ বাড়ায় রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, সেবা পেতে তাদের বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে।
হাসপাতালে আসা রোগীরা জানান, বেশিরভাগই এসেছেন করোনা আর ডেঙ্গুর পরীক্ষা করানোর জন্য। অনেকেই নিয়ে এসেছেন বাচ্চাদের।
এদিকে হাসপাতালটির কোভিড ১৯ আইসোলেশন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ১৪ জন, আর গেল ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১০ জন। অধিকাংশই বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এসেছেন।
হাসপাতালটির পরিচালক জানান, কোভিড রোগী ব্যবস্থাপনার জন্য জরুরী ভিত্তিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এবং লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে এবং আইসিইউ সহ নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক কর্নেল তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা একই সাথে ৩০০ রোগীকে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসতে পারবো। এরপর যদি আমাদের রোগীর সংখ্যা বাড়ে, তাহলে আমরা ১০৫৪ পর্যন্ত বেড সংখ্যা বাড়াতে পারবো। সেক্ষেত্রে হয়ত আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আরও জনবলের চাহিদা দিবো।’
চিকিৎসকরা জানালেন, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘যে রোগীর আগে থেকে কিডনী, ডায়াবেটিস বা প্রেশারের সমস্যা তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আগে আমরা কোভিডের রোগী পেতাম সর্দি, কাশি, ইত্যাদি সমস্যা ছিল। এখন ডেঙ্গু বা চিকনগুনিয়ার সাথে মিলে যাচ্ছে।’
শনিবার (১৩ জুন) দেশে আরও সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময় কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ১০৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।