দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ হয়েছিল ২০২৩ সালে। ওই বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ৭০৫ জনের। এদিকে চলতি বছর ২৬ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১১৮ জন। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৫১৪ জন।
এবছর জুলাই থেকে আগস্টে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা খুব বেশি বাড়েনি। চলতি মাসে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৩৪ জন, মারা গেছেন ৩৫ জন।
আরও পড়ুন:
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘মশার ওপর নজরদারি, ডেঙ্গু রোগীর নজরদারির পাশাপাশি কীটনাশক কাজে লাগছে কি না, এ তিনটি বিষয়ের নজরদারি একটি ড্যাসবোর্ডে কীটতত্ত্ববিদ, রোগতত্ত্ববিদ, জনস্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, পারিবেশকর্মী আর জনপ্রতিনিধি বিষয়গুলো দেখবে। যেভাবে করোনার সময় দেখেছেন জেলার ডেপুটি কমিশনার, সচিবালয়ের লোকেরা। এসব নিয়ে তারা নিয়মিত মিটিং করতেন। এভাবে কোভিড মোকাবিলা করা গেছে। ডেঙ্গুর সময়ও এ পদ্ধতিতে মোকাবিলা করতে হবে।’
প্রতিবছর ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তিনটি জরিপ করে। মৌসুম পূর্ববর্তী, মৌসুমকালীন এবং মৌসুম পরবর্তী জরিপ। তবে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও এখনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মৌসুম পূর্ববর্তী জরিপ শেষ করেনি। বরং গত বছরের মৌসুম পরবর্তী জরিপকেই তারা এবার মৌসুম পূর্ববর্তী জরিপ হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘জরিপ একদিন করা হয়। তবে এখন জরিপ প্রতিদিন করতে হবে। তিন মাসে একবার তথ্য সংগ্রহ না করে, প্রতিদিন তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।’
এদিকে মশক নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের দাবি, সঠিক ও কঠোর পদক্ষেপের জন্য এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি।