থরে থরে সাজানো হরেক রকম মিষ্টি। রসগোল্লা, কালোজাম, ক্ষীরমোহন, চমচম, রসমালাই, ছানামুখী ও সন্দেশসহ বাহারি দেশীয় মিষ্টি দেখামাত্র জিভে জল আসবে না এমন ভোজন রসিক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
দোকানিরা জানায়, এই প্রসেসিং এর পরে মিষ্টিগুলো কোল্ড ষ্টোরে রাখা হয় ঠাণ্ডা করার জন্য। ঠাণ্ডা করার পরে এগুলো দোকানে দেয়া হয়। দই, রসমালাই এগুলোর ভালো চাহিদা এখানে।
একটা সময় ছিল যখন দেশীয় মিষ্টির স্বাদ নিতে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হতো প্রবাসীদের। বছর কিংবা ছয় মাসে দেশ ফেরত সহকর্মী ও আত্মীয়রা সঙ্গে নিতেন দেশীয় মিষ্টি। দিন বদলেছে। এখন বিদেশেও দেশীয় স্বাদের এসব মিষ্টি তৈরি করছেন, বাংলাদেশি কারিগররাই। এতে বিদেশে বসেও হাতের নাগালে দেশীয় মিষ্টি পাওয়ায় খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রবাসীরা জানান, বাংলাদেশি মিষ্টি প্রবাসেই তৈরি হওয়ায় খুশি তারা। বিদেশে বসে দেশের মিষ্টির স্বাদ নিতে পারছেন তারা।
দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রবাসেও ব্যবসার পরিধি বাড়াচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এসব কারখানায় তৈরি মিষ্টি আজমান শহর ছাড়িয়ে পাইকারি দামে চলে যাচ্ছে আমিরাতের অন্যান্য শহরের মিষ্টির দোকানে। প্রবাসীদের পাশাপাশি স্থানীয় অনেক ক্রেতাও নিচ্ছেন মিষ্টি।
তারা জানান, এই মিষ্টিগুলোর স্বাদ দেশের মতোই। এ বিষয়ে দোকানের মালিক বলেন, আমরা এই দোকান দিয়েছি। দোকান ভাল চলছে। এখানে এখন অনেকেই কাজ করছে।
এসব প্রতিষ্ঠান একদিকে প্রবাসীদের মিষ্টির চাহিদা যেমন পূরণ করছে, অন্যদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের যেকোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে জায়গা করে নিচ্ছে দেশীয় স্বাদের এসব মিষ্টি। এমনকি বিদেশে দেশীয় মিষ্টির ব্যবসা সম্প্রসারণে তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থান।