চট্টগ্রামের ৬ জেলার মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠানোর দিক দিয়ে এগিয়ে আছে ফেনী জেলার প্রবাসীরা। জেলার প্রায় ১০ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রবাসে বসবাস করেন। গতবছর জুলাই থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এই জেলার প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রায় ৮০ কোটি ডলারের বেশি। সংখ্যার পরিমাণে যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়াতে অঙ্গীকার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেনী প্রবাসী ফোরামের।
ফেনী প্রবাসী ফোরামের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মীর মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের ফেনী প্রবাসীদের মাঝে কেউ যদি অসুস্থ হয়, আর্থিকভাবে অসচ্ছল হয় তাহলে আমরা ফেনী প্রবাসী ফোরামের পক্ষ থেকে তাকে অর্থনৈতিকভাবে ও অন্যান্য যেভাবে সহযোগিতা করা সম্ভব তা আমরা করবো।’
ফেনী প্রবাসী ফোরামের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবু নাছের তছলিম বলেন, ‘কেউ যদি মারা যায় আর আর্থিকভাবে অসচ্ছল হয় তাহলে আমরা ফোরামের পক্ষ থেকে তার লাশটা পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।’
সংগঠকরা জানান, প্রবাসে ফেনীবাসীকে ঐক্যবদ্ধ রাখার পাশাপাশি অসহায় প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানো মৃত প্রবাসীদের মরদেহ দেশে পাঠানো এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ দেয়াই তাদের অন্যতম লক্ষ্য।
ফেনী প্রবাসী ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম স্বপন বলেন, ‘কোনো অবৈধ পথে নয়, আমরা রেমিট্যান্স পাঠাবো বৈধ পথে। সরকার যে বৈধ পথের ব্যবস্থা করেছে সেভাবেই আমরা সবাইকে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করবো।’
কমিউনিটির নেতারা বলছেন, প্রবাসে জেলা উপজেলা ভিত্তিক এসব সংগঠন প্রবাসী বাংলাদেশিদের যেমন সহযোগিতা করে তেমনি দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবার আগে আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কমিউনিটি নেতা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এ সংগঠনগুলো যদি প্রকৃত অর্থে সংগঠিত হয় এবং সুন্দরভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে তা বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে যারা আছে সবাই উপকৃত হবে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিন উপদেষ্টাসহ সতেরো জন বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে আলোচনা সভা, সংগঠনের সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা, শিশু ও কিশোরদের প্রতিযোগিতা, র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে ভিন্নমাত্রা যোগ করে।