যুক্তরাজ্যের কেয়ার ভিসা বন্ধে শঙ্কায় বাংলাদেশি কর্মী রপ্তানি

যুক্তরাজ্যে বন্ধ কেয়ার ভিসা
প্রবাস
0

হুট করেই অভিবাসন নীতিতে আরো কড়াকড়ি আরোপ করলো যুক্তরাজ্য। বন্ধ হচ্ছে কেয়ার ভিসা। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে অভিবাসীকর্মীদের বেতনসীমা আর শিক্ষাগত যোগ্যতাও। নতুন অভিবাসন আইন কার্যকর হলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়া বন্ধের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

যুক্তরাজ্যে অভিবাসন এখন এক অনিশ্চয়তার নাম। রাজনৈতিক চাপে আবারও অভিবাসন আইনে বড়সড় পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে কিয়ার স্টারমার সরকার। কেয়ার ভিসায় গেল কয়েক বছরে দেশটিতে এসেছেন ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি কর্মী। তবে প্রতারণা ও দুর্নীতির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ২ শতাধিক কেয়ার প্রতিষ্ঠান। অনেকে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

লন্ডনের ইমিগ্রেশন আইনজীবী এম আবুল কালাম বলেন, ২২ তারিখের আগে যারা এখানে আসবে বা যারা এখানে অবস্থান করছেন তারা আগের আইনেই চলবে। আগের আইনে ট্রানজিশনাল পিরিয়ডের যে বেনিফিট সেটা পাবেন।

পহেলা জুলাই যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ঘোষিত নতুন নিয়মে দক্ষ কর্মী নিয়োগে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি এবং স্কিল ওয়ার্কার ভিসার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা এ লেভেল থেকে ডিগ্রি সমমানে উত্তীর্ণসহ বেশকিছু কড়াকড়ি এনেছে সরকার। ইমিগ্রেশন আইনজীবীরা বলছেন আগামী ২২ জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আইন।

লন্ডনের ইমিগ্রেশন আইনজীবী এম আবুল কালাম বলেন, ডিগ্রি যোগ্যতা একটা ভাবার বিষয়। দেশের ভেতরে যারা অবস্থান করছেন তাদের কোনো চিন্তার কারণ নেই। তারা আগের আইনেই থাকবেন। এটাই হচ্ছে বর্তমান চেইন যা ২২ তারিখ থেকে হবে।

ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মূল ব্যবসা বলা চলে রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে। গেল এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কর্মী সংকটে ভুগছে এই শিল্প। সংশ্লিষ্টরা বলছেন স্কিল ওয়ার্কারদের বেতন বৃদ্ধির কারণে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।

কারি লাইফ ম্যাগাজিনের সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা বলেন, প্রভাব কিছুটা তো পড়বে বাংলাদেশ বা ভারত থেকে আসা স্কিলড শেফদের জন্য। আমাদের যারা ইন্ডাস্ট্রির লীডার আছেন অথবা বিভিন্ন জব সেক্টরে যারা কাজ করেন তাদের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে এই সেশনটা কমিয়ে আনা হয়। আগেও আমাদের ইন্ডাস্ট্রির লীডাররা চাপ দেয়ার কারণে সরকার শুনেছে তাদের কথা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের ৯ লাখ ৬ হাজার নেট অভিবাসী সরকারকে চাপে ফেলে। কড়াকড়ি আরোপের ফলে ২০২৪ এ তা কমে আসে ৪ লাখ ৩১ হাজারে। নতুন নিয়মে স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক ভিসা সীমিত হওয়ায় অভিবাসন আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। চলতি বছরে লক্ষ্য এ সংখ্যা আড়াই লাখে নামিয়ে আনা।

ইএ