এ আলোচনা এমন এক সময়ে শুরু হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, যদি বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে সন্তোষজনক অগ্রগতি না হয়, তবে আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যে এই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হবে। এ প্রেক্ষাপটেই শুল্ক নিয়ে জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। ঢাকা থেকে জুমে যুক্ত হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী ঢাকাফেরত ফ্লাইটে ওয়াশিংটনে পৌঁছে আলোচনায় অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রেন্ডন লিঞ্চ, যিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি। বৈঠকে তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করছেন।
অবশ্য উভয় পক্ষই আশাবাদী, বাকি দুই দিনের আলোচনা থেকে একটি সমাধানমুখী কাঠামো বেরিয়ে আসবে, যা বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনবে।