জাহাজে কাজ করা লস্কর, কিংবা রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরে ঘাম ঝরানো বাবুর্চির পেশা দিয়েই দেড়শ বছর আগে শুরু হয়েছিলো যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিদের গল্প। তবে হয়তো অনেকেরই ধারণার বাইরে ছিলো, একদিন এই বাঙালিরাই কাঁপাবে ব্রিটেনের রাজনীতির মঞ্চ।
১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশি কাউন্সিলর নির্বাচিত হবার পর বর্তমানে দেশটিতে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫২ তে। পার্লামেন্টে ২ মন্ত্রী ও ৪ এমপির পাশাপাশি রয়েছেন লর্ড মেম্বার। নানা চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে সেই গর্বের অভিযাত্রায় দীপ্ত পায়ে এগিয়ে চলছেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি রাজনীতিবিদরা।
যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ একজন বলেন, ‘আমি প্রথমবার একজন এশিয়ান কাউন্সিলর হয়েছি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে। এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো।’
সম্প্রতি লন্ডনে বাংলাদেশ সেন্টারের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের মেয়র, ডেপুটি মেয়র, স্পিকার ও অন্যান্য নেতারা। তাদের আশা, শুধু কাউন্সিলর বা এমপি হিসেবে নয়, নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদরা আগামীতে আরও এগিয়ে যাবে।
তারা বলেন, ‘সামনে যদি আমরা ইয়াং জেনারেশনকে সাথে রাখি তাহলে আমরা শুধু এমপি না, প্রাইম মিনিষ্টার পর্যন্ত দেখতে পারবো। আমরা এখন সামনে দেখবো।’
আয়োজকরা জানান, নতুন প্রজন্মকে নেতৃত্বের সাহস ও স্বপ্ন দেখাতেই এই আয়োজন।
বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডনের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শতাধিকের মতো কাউন্সিলর যুক্ত হয়েছেন। আমরা তাদের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। বাংলাদেশ সেন্টারের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। উনারা উনাদের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কিভাবে ব্রিটিশ রাজনীতিতে সংযুক্ত করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এবং আমরা আগামীতে আরও কাজ করে যাব।’
ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের এই গল্প থামবে না। নতুন দিনের সূর্যোদয় লিখবে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়। গর্ব আর সাহসের মশাল হাতে এগিয়ে যাবে অজানা গন্তব্যের পথে। এমনটাই প্রত্যাশা প্রবাসী বাংলাদেশিদের।