শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ১৩ রান। বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম বলে চার হজম করলেও দ্বিতীয় বলেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের জয়টাও। ২০২৫ সালে এসেও মুস্তাফিজ যেন আবারও বোঝালেন, চাপের মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র তিনিই। এক্ষেত্রে পরিসংখ্যানটাও সঙ্গ দিচ্ছে তাকে।
চলতি বছরই আরব আমিরাতের মতো আইসিসির সহযোগী দেশের কাছে টি-টোয়েন্টিতে হারের লজ্জা পেতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও পরের দুই ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। সিরিজের সেই দুই ম্যাচে ছিলেন না মুস্তাফিজ। শ্রীলঙ্কায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের ম্যাচেও ছিলেন না তিনি। পরের দুই ম্যাচে তার ফেরার পরই জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ।
ডেথ ওভারে মুস্তাফিজের এই কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে গতকালের ম্যাচেও। শেষ ওভারে বাংলাদেশ তার হাত ধরেই পেয়েছে জয়। এমনকি পাকিস্তানি ব্যাটার ফাহিম আশরাফও বলেছেন মুস্তাফিজের ওভারে চাপ রাখতে চাননি তিনি।
মিরপুরের ধীরগতির উইকেটে বরাবরই নিজের স্লোয়ার, কাটারে ব্যাটারদের বিধ্বস্ত করেছেন মুস্তাফিজ। যার সবশেষ শিকার পাকিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ করা। সেখানেও হয়ত আরও একবার টাইগারদের এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে মুস্তাফিজের স্পেলটাই।