যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশসহ নানা দেশের ইসলামি স্কলার, জনপ্রতিনিধি এবং অংশগ্রহণকারীদের পদচারণায় মুখর ছিল গোটা এলাকা। সেমিনার-ইয়াং সিস্টার্স, ইয়ুথ ও শিশুদের জন্য আলাদা সেশনসহ নানা ধরনের আয়োজনে অংশ নেন হাজারো মানুষ।
মুসলিম উম্মা অব নর্থ আমেরিকার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমাম দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ কনভেনশনের মাধ্যমে আমাদের ইউনিটি, একটা কোলাবোরেশন শো-অব হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমরা মুসলিম হিসেবে বসবাস করার জন্য উৎসাহিত হই। আমাদের ইউনিটিটা আরও স্ট্রং হয়।’
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউ ইয়র্ক সিটির প্রথম নারী কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফও বক্তব্য রাখেন কনভেনশনে। ব্রুকলিনের এ তরুণ রাজনীতিক নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন:
নিউ ইয়র্ক সিটির কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ বলেন, ‘আমরা খুব বড় ব্যবধানে জিতেছি এ ইলেকশনটা। এটা কঠিন, তবে আমি আমার বোনদের লিডারশিপে আসার জন্য উৎসাহিত করছি।’
ধর্মীয় আলোচনা ছাড়াও বই, পোশাক ও খাবারের স্টল টেনেছে দর্শনার্থীদের। প্রবাসীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করছে এই জমজমাট পরিবেশ। দর্শনার্থীরা জানান, পরিবার নিয়ে আসছে সবাই। এর মাধ্যমে ছোটরা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অনুপ্রেরণা নিয়ে ফিরেছেন তারা। তিনদিনের আয়োজনে ৩০ হাজার মানুষকে কনভেনশনে উপস্থিত করার পরিকল্পনা আয়োজকদের।
বৈচিত্র্যময় কর্মসূচি আর হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে এ কনভেনশন হয়ে উঠেছে প্রবাসী মুসলিমদের প্রাণের উৎসব।