খনিজ কাঁচামালের বিকল্প খুঁজে পেল জুরিখ; ই-বর্জ্যে মিলছে সমাধান

ই-বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার গবেষণা
প্রযুক্তি সংবাদ
তথ্য-প্রযুক্তি
0

ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে পৃথিবীর বিরল উপাদানগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য একটি নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন সুইজারল্যান্ডের জুরিখের একদল গবেষক। এর মধ্যে দিয়ে টেকসই পুনর্ব্যবহার ও খনিজ কাঁচামালের ওপর নির্ভরতা কমানোর পথিকৃৎ হয়ে উঠেছেন আবিষ্কারকরা।

পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলার ইলেকট্রনিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে দিন দিন গুরুত্ব বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। কত সহজ ও কম খরচে ই-বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে বিভিন্ন দেশে চলছে গবেষণাও।

এ ক্ষেত্রে অভাবনীয় এক সফলতার পথে সুইজারল্যান্ডের জুরিখের একদল গবেষক। যারা ইলেকট্রনিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারই নয়, এসব ফেলনা জিনিস থেকে পৃথিবীর বিরল উপাদানগুলোকেও পুনরুদ্ধারে নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। যা ই-বর্জ্যের টেকসই পুনর্ব্যবহারকে এগিয়ে নিতে এবং খনিজ সম্পদের উপর নির্ভরতা কমাতে সহায়ক হবে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।

ইথ জুরিখ পাইওনিয়ার ফেলো ড. মেরি পেরিন বলেন, ‘বর্জ্য থেকে উপাদান আলাদা করার আরো ভাল উপায় খুঁজে বের করতে হবে। যাতে খনি, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং পরিবেশগত প্রভাব এড়ানো সম্ভব হয়। এটি আমাদের জন্য সত্যিই এক মাইলফলক হবে। আপনি যখন পুনর্ব্যবহার পণ্যটিকে দৈনন্দিন পণ্য হিসেবে ব্যবহার করতে দেখবেন, তখন এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন হবে।’

বর্তমানে পৃথিবীর বিরল উপাদানগুলোর এক শতাংশের কম পুনর্ব্যবহার করা হয়। কারণ উপকরণগুলোতে থাকা উপাদানগুলো আলাদা করার জন্য প্রচুর শক্তি এবং রাসায়নিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়। এমনকি ব্যয়বহুলও।

এছাড়াও ইলেকট্রনিক পণ্যে ব্যবহৃত খনিজ পণ্য নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ নিয়ন্ত্রণ করায়, ই-বর্জ্যের টেকসই পুনর্ব্যবহারকে এগিয়ে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ফেলো ড. মেরি পেরিন বলেন, ‘খনি শিল্পের চাহিদা সত্যিই কয়েকটি দেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বিশেষ করে চীন, যারা এই উপাদানগুলোর পরিশোধনের ৯০ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। তাই কিছুটা মূল্য কম রয়েছে। তাই এই উপাদানগুলোর পুনর্ব্যবহারকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সঠিক নিয়মকানুন বা সঠিক উদ্ভাবন জরুরি।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নও পৃথিবীর বিরল ধাতুগুলো আরো বেশি পুনর্ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত উদ্বেগ এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় ই-বর্জ্যের টেকসই পুনর্ব্যবহার এগিয়ে নেয়া এবং খনিজ সম্পদের উপর নির্ভরতা কমানো জরুরি হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের লক্ষ্য পূরণে জুরিখের গবেষণা সহায়ক হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের।

বিরল মাটির ধাতুর বাজারে বর্তমানে আধিপত্য রয়েছে চীনের। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী বিরল মাটির খনি ৭০ শতাংশ এবং পরিশোধনে ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে বেইজিং।

সেজু