প্রকৃতিতে অনেক অনিশ্চয়তা থাকায় প্রায়শই বড় ভূমিকম্প হতে যাচ্ছে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় না। তবে স্যাটলাইট এআই এ অনিশ্চয়তা কাটাতে পারে। ৩ দিন আগে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিয়েছে স্যাটলাইট এআই। জার্মানি এবং চিলির বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে একটি এআই মডেল সফলভাবে পরীক্ষা করেছেন। যা আঘাত হানার কয়েকদিন আগে পৃথিবীর পরিবেশ পর্যালোচনা করে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প সনাক্ত করেছে। এটি প্রথমবারের মতো স্যাটলাইটি এআই আয়নোস্ফিয়ারের অসঙ্গতির ওপর ভিত্তি করে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিয়েছে।
আয়োনোস্ফিয়ার হলো পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলের একটি অংশ। যা ৫০ কিমি থেকে প্রায় ৯৬০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। এ সিস্টেমটি পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলে চার্জিত কণা, রেডিও তরঙ্গ পথ এবং তাপীয় ইনফ্রারেড বিকিরণের সূক্ষ্ম ব্যাঘাতের জন্য পর্যবেক্ষণ করে।
ভূমিকম্পের আগে, টেকটোনিক স্ট্রেস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক নির্গমন উপরের দিকে তরঙ্গায়িত হয়। আয়নের ঘনত্ব এবং পৃষ্ঠের প্রতিফলন পরিবর্তন করে। এই এআই সিস্টেমটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ার জুড়ে ৩০০ টিরও বেশি ভূমিকম্পের তথ্যের উপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিল।
রিং অফ ফায়ার হলো প্রশান্ত মহাসাগরের একটি অঞ্চল হল, যা ঘন ঘন ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং টেকটোনিক কার্যকলাপের জন্য পরিচিত। ভূতাত্ত্বিকভাবে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি।
চিলির উপকূলের কাছে যখন ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, তখন সিস্টেমটি ৭২ ঘণ্টা আগে এই অঞ্চলটিকে চিহ্নিত করেছিল। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এই সিস্টেমটি তুরস্ক, জাপান এবং ইন্দোনেশিয়ায় আঞ্চলিক পরীক্ষা হবে।
যদি এটি সঠিক হয়, তাহলে এই এআই পৃথিবীকে এমন একটি পূর্বাভাস দিতে পারে যা আগে কখনও ছিল না। স্যাটেলাইট এআই ব্যবহারের মাধ্যমে, কয়েকদিন আগে সতর্কতা আসতে পারে- সেতু, স্কুল বা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। দুর্যোগের প্রস্তুতি রূপ চিরতরে বদলে দিতে পারে এআই।