আলজিয়ার্সে শেষ হলো তিনদিনের কালিনারি আর্ট ফেস্টিভ্যাল

ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে আলজেরিয়ার রন্ধনশিল্পীরা
বিদেশে এখন
0

রাজধানী আলজিয়ার্সে শেষ হলো তিনদিনের কালিনারি আর্ট ফেস্টিভ্যাল। রান্নার জ্ঞান বিনিময়ের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশিল্পের উদযাপন লক্ষ্য এ প্রতিযোগিতার। রান্না আর রন্ধনশৈলীর পার্থক্য বোঝাতে উত্তর আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ায় এক হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের পাকা রাঁধুনিরা। শুধু খাওয়ার উদ্দেশে নয়, রান্নার স্বাদ থেকে শুরু করে পরিবেশন পর্যন্ত সবখানে ফুটিয়ে তুলছেন নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্য। উৎসবে ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে আলজেরিয়ার রন্ধনশিল্পীদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামেন আরও ১৪ দেশের বাঘা রাঁধুনিরা।

'ফ্লেভার্স অব আওয়ার অ্যান্সেস্টর্স' বা 'পূর্বসূরিদের রান্নার স্বাদ' থিমে এ উৎসবের আয়োজন করে গোল্ডেন আফনাক অ্যাসোসিয়েশন ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড কালিনারি আর্টস। ওক ফলের ময়দায় তৈরি কুসকুসে সামুদ্রিক খাদ্য উপকরণ যোগ করা থেকে থেকে শুরু করে দক্ষিণের জনপ্রিয় শাকশুকা পরিবেশন করেন আলজেরীয় রন্ধনশিল্পীরা। প্রতিটি খাবারেই ছিল আলজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্যের প্রতিফলন।

আলজেরীয় রন্ধনশিল্পী মোহামেদ সালাহ বলেন, ‘সামুদ্রিক খাদ্য উপকরণ দিয়ে আমি অ্যাকর্ন কুসকুস তৈরি করছি। এটা আলজেরিয়ায় ভীষণ সুপরিচিত একটি খাবার। এটা পাহাড়ি এলাকা থেকে এসেছে আর এটা সাগর থেকে।’

আলজেরীয় রন্ধনশিল্পী তাউস মেঘিত বলেন, ‘আমি শাকশুকা রান্না করছি। এটা খুব সাধারণ একটি খাবার, কিন্তু আমাদের বিসক্রা শহরে অতিথিদের আমরা আপ্যায়ন করি এ খাবার দিয়ে। মুরগি বা অন্যান্য মাংস দিই এতে।’

তুরস্ক, সিরিয়া, ইতালি, মিশর, রাশিয়াসহ নানা দেশের ১৮০ জনের বেশির রন্ধনশিল্পী অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। তাঁবুতে অস্থায়ী রান্নাঘরে এক সাথে তৈরি করেন নিজ নিজ দেশের সেরা সব খাবার। শুধু খাওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, রান্নার স্বাদ থেকে শুরু করে পরিবেশন পর্যন্ত সবখানে ফুটিয়ে তোলেন নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্য আর স্বাদ। প্রমাণ করেন, এক নয় রান্না আর রন্ধনশৈলী।

সৌদি রন্ধনশিল্পী তাহের সেলিম বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া দেশগুলোর সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটছে এখানে, লেনদেন হচ্ছে। আয়োজক দেশের রান্না ও ঐতিহ্যের সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরিচিত হচ্ছি আমরা, নতুন স্বাদের সাথে পরিচিত হচ্ছি।’

সিরীয় রন্ধনশিল্পী আয়া বায় বলেন, ‘সিরীয় ও আলজেরীয় রন্ধনপ্রণালি নিয়ে অভিজ্ঞতার বিনিময় করছি আমরা। সিরীয় ঐতিহ্য, মিষ্টান্ন ও রান্নার চেনাচ্ছি আলজেরীয়দের। একইসাথে আলজেরিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের মিষ্টান্ন আর ঐতিহ্যবাহী রান্নার সাথেও পরিচিত হচ্ছি।’

প্রতিযোগিতাজুড়ে ছিল আরব খাবারের আধিপত্য। বিশেষ করে আলজেরিয়ার বিখ্যাত বাকলাভা আর সিরিয়ার পেস্তার পুরে ভরা পেস্ট্রির মতো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন রঙিন করে তুলেছিল উৎসবকে।

সেজু