শনিবার রাতভর কিয়েভ, খেরসন, ও খারকিভসহ ইউক্রেনের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে চালানো এসব হামলায় অনেক আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরজুড়ে পুড়ে গেছে বহু গাড়ি ও যানবাহন। এমনিক ঘটেছে হতাহতের ঘটনাও। হামলার পর দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা বিভিন্ন এলাকার আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
এদিকে, পাল্টা জবাব হিসেবে কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী রাশিয়ার অন্যতম প্রধান বন্দর নগরী নোভোরোসিস্কে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এ ছাড়াও এই অঞ্চলটিতে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক ড্রোন দিয়ে রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করছে কিয়েভ। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এটিই বিশ্বে সামুদ্রিক ড্রোন দ্বারা যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার প্রথম ঘটনা।
৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত মস্কোর ৭২ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পুতিনের নাটক উল্লেখ করে একে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘দুই-তিন দিনের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করার পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা তৈরি করা অসম্ভব।’
আরো পড়ুন:
তাই ওয়াশিংটনের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য কিয়েভ প্রস্তুত বলেও জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনে তিন দিনের একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও, এখনও যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মানছেন না পুতিন। এ অবস্থায় ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার তিন দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়ার মাধ্যমে কিয়েভকে ৯ মের অনুষ্ঠানে মস্কোতে হামলা না করতে বাধ্য করার কৌশল হিসেবে নিয়েছে মস্কো। এদিন রেড স্কয়ারে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ ও পুতিনের ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, ৯ মে বিজয় দিবস উদযাপনের আগে মস্কোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সামরিক কুচকাওয়াজের মহড়া। ৯ মে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ হওয়ার আগে ৭ মে চূড়ান্ত মহড়া হওয়ার কথা রয়েছে।