একে অপরের আকাশসীমায় অস্তিত্বের জানান দিতে ব্যস্ত ভারত-পাকিস্তান। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যের ভিত্তিতে এনডিটিভি জানায়, বুধবার (৭ মে) মধ্যরাত থেকে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, গুজরাটসহ উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করছিল পাকিস্তান, যার সবগুলোই ভূপাতিত করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি আরো দাবি করছে, ভারতের শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা ও চন্ডিগরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালানোয় পাকিস্তানের লাহোরে রাডারসহ বেশ কয়েকটি শহরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অচল করে দিয়েছে ভারত।
ক্ষমতাসীন বিজেপি আরো দাবি করে, অপারেশন সিন্দুরে কান্দাহারে বিমান হাইজ্যাকের অন্যমত প্রধান মাস্টারমাইন্ড আবদুল রউফ আহজার নিহত হয়েছেন। যদিও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান। তবে একই দিকে ইসরাইলে তৈরি ভারতের ২৫টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইসলামাবাদের।
এদিন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ভারত ধরাশায়ী হয়েছে। এছাড়াও, সাম্প্রতিক হামলায় প্রায় অর্ধশত ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে বলেও পার্লামেন্টে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, চলমান উত্তেজনার মধ্যে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠক শেষে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, অপারেশন সিন্দুরে পাকিস্তানে শতাধিক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া, পাকিস্তানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ভারতের স্থলসীমান্ত, আকাশ ও সমুদ্রপথে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকার ১০ জেলায় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে মোদি প্রশাসন। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে অগ্রসর হওয়ায় ২৪৪টির বেশি জেলায় চালানো হয়েছে নিরাপত্তা মহড়া।
এদিকে, ভারত ও পাকিস্তানকে উত্তেজনা কমিয়ে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলবিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। বেসামরিক নাগরিক বিশেষ করে শিশুদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে জোর দেন তিনি। এছাড়া, অপারেশন সিন্দুরের একদিন পরই ভারত সফরে গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তেহরানও।