তীব্র ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা ও গরমে বিপর্যস্ত ভারত

একদিকে বৃষ্টি-বন্যা, অন্যদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ
পরিবেশ ও জলবায়ু
বিদেশে এখন
0

একদিকে তীব্র ঝড়, বৃষ্টি-বন্যা, অন্যদিকে গরমে কাবু ভারত। অতিভারী বৃষ্টির শঙ্কায় আজ (শনিবার, ২৪ মে) তামিলনাড়ুর ৮ জেলায় রেড অ্যালার্টসহ, মোট ৯ রাজ্যে জারি আছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। অন্যদিকে, ছয় দশকের উষ্ণতম মে মাস পার করছে জম্মু-কাশ্মীর। তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের ওপর দিয়েও।

পঞ্জিকার পাতায় কড়া নাড়ছে বর্ষা। এমন সময়ে আরব সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার শঙ্কা। গোয়ায় দু'দিন আগেই ২৪ ঘণ্টায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের পর, এবার অতিভারী বৃষ্টির আভাস ভারতের পশ্চিম উপকূল ও দক্ষিণাঞ্চলে।

১০ দিনের টানা বৃষ্টিতে কাবু তামিলনাড়ুর নীলগিরিতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে সাড়ে ৪০০ বেশি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বসিয়েছে প্রশাসন। রাজ্যের আট জেলায় সর্বোচ্চ আবহাওয়া সতর্কতা রেড অ্যালার্ট এবং গুজরাট, তেলেঙ্গানা, কেরালা, কর্ণাটক, মধ্য প্রদেশ, ওড়িষা, উত্তর প্রদেশ আর হিমাচল প্রদেশসহ মোট নয় রাজ্যে ঝড়-বন্যার শঙ্কায় শনিবার জারি আছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। ভারী বৃষ্টির আভাস রয়েছে মহারাষ্ট্র-লাক্ষাদ্বীপ আর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে।

দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টি-বন্যার পূর্বাভাসের মধ্যেই গরমে নাভিশ্বাস উঠছে ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের মানুষের। তীব্র তাপপ্রবাহ আর ধূলাঝড়ের কবলে রাজস্থানের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চল-পাঞ্জাব। ছয় দশকের উষ্ণতম মে মাস পার করছে জম্মু-কাশ্মীর। আগামী দু'দিনে এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘মার্চ, এপ্রিল, মে এই তিন মাস ভারতে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে। তো গরমের সময়ে গরম পড়বে না তো আর কী হবে। তাই এটাই স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হয়। সেটা চিন্তার বিষয়। কিন্তু নতুন ঋতু আসার আগে তাপপ্রবাহও আসলে জরুরি।’

তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের ওপর দিয়েও। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ পৌঁছেছে ৪৮ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তানে দিনের বেলা তাপমাত্রা মে মাসের গড়ের তুলনায় চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। দাবদাহ সতর্কতা জারির পাশাপাশি হিটস্ট্রোক এড়াতে প্রচুর পানি পান এবং দিনের বেলা রোদে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ।

চিকিৎসকদের একজন বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী পাই আমরা যাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ জনই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এই হাসপাতালে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়। এখানে সব ধরনের ওষুধ রয়েছে।’

এদিকে, তীব্র গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে পাকিস্তানে দুর্ভোগ উঠেছে চরমে। গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তি থাকায় দিনের বড় অংশ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কাটছে কোটি বাসিন্দার।

সেজু