ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা গ্রামে অসময়ের বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে বাঁধ। পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে, ডুবে গেছে অসংখ্য ফসলি জমি।
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট ভারী বর্ষণ থেমে গেলেও, এখনো শিয়রে সংকট নিয়ে দিন পার করছেন রাজ্যের উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক হয়ে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে।
তবে পূর্ব ও উত্তর ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বন্যা পরিস্থিতি এড়াতে, বহুমুখী নদী উপত্যকা প্রকল্প দামোদর ভ্যালী কর্পোরেশনকে একবারে ৫০ হাজার কিউসেকের বেশি জল না ছাড়ার অনুরোধ করেছে রাজ্য সরকার।
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এই নিম্নচাপের প্রভাব থাকবে আরও ৭ দিন। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে সেভেন সিস্টার্সের মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশজুড়ে। এর মধ্যে মেঘালয় রাজ্যে শনিবার ৩০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে দেখা দিতে পারে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বস।
বর্ষা মৌসুমের ২ সপ্তাহ আগে প্রবল ঝড়বৃষ্টির দাপটে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য। বিশেষ করে শনিবার কেরালা, কর্ণাটক, তামিল নাড়ু ও অন্দ্রপ্রদেশে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিঘ্নিত হতে পারে বিমান পরিষেবা।
শুক্রবার (৩০ মে) একই পরিস্থিতি দেখা গেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দিল্লি, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে। আজও (শনিবার, ৩১ মে) রয়েছে ঝড়ো হাওয়া, বজ্রপাত ও অতিবৃষ্টির পূর্বাভাস।
এছাড়া রাজস্থানে প্রবল বজ্রপাত ও ধূলিঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর। ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে।
পূর্ব ও মধ্যভারতের বিহার, ওরিশা, ঝাড়খান্ড, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়ে তীব্র ঝড় ও বজ্রপাতের আশঙ্কায় বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে পশ্চিম ভারতের কোনকান উপকূল, মধ্য মহারাষ্ট্র ও গুজরাটবাসীদের। আর ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকায় গোয়া ও মহারাষ্ট্রের উপকূল হয়ে জেলেদের মাছ ধরতে যাওয়ায় জারি আছে নিষেধাজ্ঞা।