বিভিন্ন দেশের পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় হাজারো মানুষ। অভিবাসন বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন চলছে গেল ৬ দিন ধরে। তবে একটুও পাল্টেনি দৃশ্যপট।
আন্দোলনের জনস্রোত থামাতে বল প্রয়োগের পাশাপাশি নির্বিচারে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শহরটিতে জারি রয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ। পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর করা হচ্ছে অভিবাসীদের নির্বাসন। এরইমধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে শিকাগো, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ও অস্টিনসহ ১৭টি শহরে। বেশ কয়েকটি শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে লুটপাট।
বিতর্ক সত্ত্বেও ক্যালিফোর্নিয়ায় কাজ করছে ৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য। শনিবারের মধ্যে মাঠে নামছে আরো ৭০০ মেরিন সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টেক্সাসেও ন্যাশনাল গার্ড পাঠিয়েছে পেন্টাগন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে কিছুই জানেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য সরকারের ব্যর্থতায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। এমনকি আপনার তথ্যও বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। অঙ্গরাজ্য সরকারের সম্মিলিত ব্যর্থতার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাদের কাছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পুলিশও ছিল না।’
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়রের দাবি, আন্দোলনকে উসকে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। বিপরীতে বেআইনি কার্যক্রমে জড়িতদের সাজা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন শহরটির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি।
এদিকে অভিবাসনবিরোধী অভিযানে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সদস্য মোতায়েনে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত গড়িয়েছে আদালতে। স্থানীয় সময় (বৃহস্পতিবার, ১১ জুন) এ বিষয়ে চলবে শুনানি।