শুক্রবার ট্রেনে করে ১ হাজার ২০০ ইউক্রেনীয় নাগরিক ও সেনাদের মরদেহ পাঠিয়েছে রাশিয়া। তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে কিয়েভের কাছে মস্কোর এতো মরদেহ পাঠানোর ঘটনা এটাই প্রথম। এখন দেহাবশেষ ও মরদেহগুলো শনাক্তে কাজ করবেন ইউক্রেনের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
যুদ্ধ উত্তেজনা সত্ত্বেও গেল মাসে ইস্তাম্বুলে হওয়া বৈঠকে, উভয়পক্ষই নীতিগতভাবে ৬ হাজার নিহত সেনা ও যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। এই বিনিময়ে অসুস্থ ও গুরুতর আহত যুদ্ধবন্দি, ২৫ বছরের কম বয়সী বন্দিদের মুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তবে শুক্রবার রুশ সেনাদের মরদেহ ফেরত দিতে কিয়েভ ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে মস্কো।
এরমধ্যেও দুই দেশের তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। যদিও রুশ আক্রমণ সফলভাবে প্রতিহতের দাবি করছে কিয়েভ। আর মস্কো বলছে, তাদের বাহিনী ইউক্রেনের উত্তরপূর্ব সুমি অঞ্চলের আরো একটি গ্রাম দখল করেছে।
অন্যদিকে সীমান্ত অঞ্চল থেকে ধীরে ধীরে রুশ সেনাদের পিছু হটাতে ইউক্রেনীয় বাহিনী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘মূলত পোকরোভস্ক, কুরস্ক এবং সুমি অঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকার লড়াই সম্পর্কে একটি তথ্য এসে পৌঁছেছে। রুশ বাহিনী অনেক এলাকা দখল করার চেষ্টা করলেও, বিশেষ করে সুমি অঞ্চলে আমাদের সেনারা ধীরে ধীরে রুশ বাহিনীকে পিছু হটাচ্ছে।’
ইউক্রেনপন্থি ওপেন সোর্স মানচিত্রের তথ্য বলছে, রাশিয়া এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের ১৯০ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা দখলে নিয়েছে।