গত ডিসেম্বর থেকে সুদের হার ৪.২৫ থেকে ৪.৫০ শতাংশের মধ্যে রাখা হচ্ছে। কর্মসংস্থান ও মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা নজরে রেখে এই অবস্থান বজায় রেখেছে ফেড।
কেপিএমজির প্রধান অর্থনীতিবিদ ডায়ান সোয়াঙ্ক বলেন, ‘অনিশ্চয়তা এখনো অত্যন্ত বেশি, তাই এই বৈঠকে আমাদের অবস্থান যেন খুব বেশি নজরে না আসে সেটাই প্রত্যাশা।’
তিনি আরো বলেন, ‘যতক্ষণ না তারা নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারছে যে শুল্কের কারণে বা তার হুমকিতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে না, ততক্ষণ তারা নড়াচড়া করবে না।’
প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প অধিকাংশ মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারের উপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করেছেন। যদি বিদ্যমান স্থগিতাদেশ বাড়ানো না হয়, তবে জুলাই মাসে বেশ কিছু দেশের ওপর আরো উচ্চ হারে শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্প চীনের সঙ্গেও পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের এক ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও অটোমোবাইল আমদানিতে শুল্ক আরোপ করেছেন। যা আর্থিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে এবং ভোক্তাদের আস্থা ও মনোভাবকে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই শুল্কের প্রভাব ভোক্তা মূল্যস্ফীতিতে দেখা দিতে ৩-৪ মাস সময় লাগবে।
যদিও সরকারি তথ্য অনুসারে নিয়োগ কিছুটা কমেছে এবং শ্রমশক্তির কিছুটা সংকোচন ঘটেছে, বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত রয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতিও কমেছে, যদিও বিশ্লেষকরা ব্যবসায়িক লাভের পরিমাণ কমার লক্ষণ লক্ষ্য করেছেন। যার অর্থ কোম্পানিগুলো আপাতত শুল্কের চাপ বহন করছে।
বুধবার ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে সুদের হার এক শতাংশ পয়েন্ট কমানোর আহ্বান জানান। আর বৃহস্পতিবার তিনি এই অনুরোধে সাড়া না দেওয়ায় পাওয়েলকে নাম্বস্কুল (বেকুব) বলেও আক্রমণ করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘যদি মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে, তখন হার আবার বাড়ানো যাবে। তবে পাওয়েল সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ফেডের স্বাধীন অবস্থান রক্ষা করেছেন।’—বাসস