ইসরাইলের বিরুদ্ধে মূলত একাই লড়ে যাচ্ছে ইরান

ইরানের মামলায় বিধ্বস্ত ইসরাইলের রামাত গান
বিদেশে এখন
0

ইসরাইলের বিরুদ্ধে মূলত একাই লড়ে যাচ্ছে ইরান। আরব রাষ্ট্র বিশেষ করে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালেও মিত্রদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সহায়তা পাচ্ছে না তেহরান। ক্রান্তিকালে দেশটি অনেকটা নিঃসঙ্গ। এ ছাড়া, ইরানের প্রক্সি বাহিনীগুলো দুর্বল হয়ে পড়ায় তাদের সহায়তা পাচ্ছে না তারা।

ইরান ও ইসরাইলের চলমান সংঘাত বিস্তৃত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। বিশ্লেষকদের মতে, দুই পক্ষ পুরোপুরি সংঘাতে জড়ালে অস্থিতিশীল হবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য। যা ভয়ংকর সংঘাত ডেকে আনতে পারে।

কেউ কেউ বলছেন, এই সংঘাত পরমাণু যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বিশ্বকে। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে ইরান ও ইসরাইলের সক্ষমতা নিয়ে। মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর দেশ ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলে, তাহলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে ইসরাইল।

নিজের ভিত শক্ত করতে ট্রাম্পের কাঁধে চড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে তোড়জোর শুরু করে ইসরাইল। যা আব্রাহাম চুক্তি নামে পরিচিত। সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো এরইমধ্যে চুক্তিতে সই করেছে।

আরো পড়ুন:

সৌদি আরবসহ আরো কিছু দেশও এতে সম্মত জানিয়েছে। চুক্তির মাধ্যমে এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের অত্যাধুনিক সামরিক ও নজরদারি যন্ত্রপাতি পেতে আগ্রহী। নিজেদের নিরাপত্তায় তারা এটিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করে।

ইসরাইলের নজিরবিহীন হামলায় সামরিক ও বেসামরিক খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইরান। হামলার কয়েক ঘণ্টার পরই ইসরাইলের প্রতি নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে সৌদি আরব জানায়, বর্বর এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ওমান, কাতার, কুয়েত ও বাহরাইনও প্রায় একই সুরে বিবৃতি দিয়েছে। তবে তেহরানের পাশে এখনো দাঁড়ায়নি কেউ। চরম ক্রান্তিকালে মধ্যপ্রাচ্যে অনেকটা নিঃসঙ্গ ইরান।

উপসাগরীয় বেশিরভাগ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি আছে। সেগুলোতে হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছে তেহরান। এতে সংঘাত বাড়লে নিরাপত্তাজনিত সংকটে পড়বে গোটা উপসাগরীয় অঞ্চল। তাই এসব দেশ কূটনৈতিক সমাধানের পথেই হাঁটছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের পাশে দাঁড়ালে তাদেরও মাশুল গুণতে হবে।

আরো পড়ুন:

অন্যদিকে, ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতি, ও ইরাকি মিলিশিয়ারাও অনেকটা চুপ। ইরানের প্রক্সিবাহিনীগুলো এরইমধ্যে তাদের শীর্ষ কর্মকর্তা ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। হুতি গোষ্ঠী ছাড়া ইসরাইলের সরাসরি কেউ হামলা করেনি এখন পর্যন্ত। ইরানের অন্যতম মিত্র সিরিয়াও ধুঁকছে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে। এমন অবস্থায় মিত্রদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সহায়তা পাচ্ছে না ইরান।

তবে দুই পক্ষের সংঘাত বড় হোক সেটি কেউ চায় না। তবে ইরানকে ধ্বংস করতে বার বার হুমকি দিচ্ছে ইসরাইল। আর ইরান বলছে সংঘাত নয়, আত্মরক্ষায় লড়ছে তারা। ইরান ও ইসরাইলের সংঘাত কমাতে মধ্যস্থতায় এগিয়ে এসেছে রাশিয়া। সম্প্রতি পরমাণু ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তেহরানের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়।

সেজু