খরস্রোতা বানের জলে ভেসে গেলো এক আস্ত বাড়ি। আকস্মিক বন্যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ভেসে আসছে এমনই চিত্র। ভারী বৃষ্টিতে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থান ২০ ফুটের উপরে পৌঁছেছে রিও রুইডেসো নদীর পানির উচ্চতা।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন বাসিন্দার নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। অর্ধশত স্থানে চালানো হচ্ছে উদ্ধার অভিযান। এমন পরিস্থিতিতে বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোয় জরুরি অবস্থা জারি করেছে নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্য সরকার।
এদিকে ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় নিখোঁজদের সন্ধানে চলছে উদ্ধারকাজ। যদিও বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ চলছে ধীরগতিতে। অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের দাবি, বন্যায় প্রাণহানি ছাড়িয়েছে শতাধিক মানুষ। নিখোঁজের সংখ্যা ২ শ’র ঘর ছুঁইছুঁই। শুক্রবার ফার্স্ট লেডির সঙ্গে বন্যাকবলিত স্থান পরিদর্শনে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘শুক্রবার ফার্স্ট লেডির সঙ্গে আমি টেক্সাসে যাচ্ছি। আমরা উদ্ধারকাজে জড়িতদের সঙ্গে দেখা করছি না। কারণ প্রেসিডেন্ট কোথাও গেলে তিনিই সবার নজরে থাকেন। এতে তাদের কাজ বিঘ্নিত হয়। এরমধ্যে হয়তো তারা একজনের প্রাণ বাঁচাতে পারবেন।’
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট বলেন, ‘যতদিন, সপ্তাহ কিংবা বছর প্রয়োজন হোক না কেনো, আমরা কাজ চালিয়ে যাবো। এই মুহূর্তে তাদের জন্য এটিই সবচেয়ে বড় আশার বিষয়। হিল কাউন্টি এলাকার মানুষদের বলতে চাই, কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আপনাদের ছেড়ে যাবো না।’
একদিকে বন্যায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র, অন্যদিকে দাবানলের কবলে ইউরোপ। ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মার্সেইয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। ছোটাছুটির সময় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। ইতোমধ্যে পুড়ে ছাই ৭ শ’ হেক্টর এলাকা। ৮ শতাধিক দমকল কর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ফল মিলেছে সীমিত। সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয় মার্সেই বিমানবন্দর।
স্পেনের কাতালোনিয়ার পরিস্থিতিও একইরকম। শহরটির ১৮ হাজার মানুষকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার হেক্টর অঞ্চল পুড়ে ছাই। ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় দাবানল নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন ৪ শতাধিক দমকলকর্মী।
এদিকে, ইউরোপের জলবায়ু পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা কপার্নিকাস বলছে, ইতিহাসের তৃতীয় উষ্ণতম জুন মাস ছিলো চলতি বছরের জুন মাস। আর পশ্চিম ইউরোপের জন্য এবারের জুন ছিলো সবচেয়ে বেশি উষ্ণ। তাই অঞ্চলটিতে সাম্প্রতিক সময়ে দাবানল দেখা গেছে বেশ কয়েকবার।