প্রাচীনতম সংস্কৃতির ক্ষুদ্র নিদর্শন বিশ্বের যে সব প্রান্তে ছড়িয়ে আছে তারমধ্যে অন্যতম লেবানন। ভূমধ্যসাগরীয় অববাহিকা এবং আরব পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগস্থলে অবস্থিত পশ্চিম এশিয়ার দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশে ধর্মীয় বৈচিত্র্যের সঙ্গে আছে সাংস্কৃতিক নিজস্ব পরিচয়ও।
২০২৩ এর অক্টোবরে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে হামাসের হয়ে ছায়া যুদ্ধ শুরু করে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। গেল বছর ২৭ নভেম্বর ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ'র মধ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলেও যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ে লেবানন।
যার প্রভাব পড়েছে লেবাননের বন্দর নগরী টায়ারে। প্রাণবন্ত নগর, উপকূলের সৌন্দর্য আর প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষ মিলিয়ে একসময় যে নগর ছিল পর্যটক প্রিয়দের গন্তব্য। আজ সেই শহরের প্রায় ৩০টির বেশি স্থাপনা যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত।
শুধু পর্যটন স্থাপনা নয়, টায়ার শহরে এখনও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হোটেল আছে যা পুরোপুরি সচল নয়। চলছে মেরামতের কাজ। এছাড়া যুদ্ধের সময় যারা শহর ছেড়ে পালিয়েছিলেন তারাও ধীরে ধীরে ফিরে আসছেন নিজের ভিটেমাটিতে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা সদয় হলে, এই মৌসুমে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। আমরা আশাবাদী।’
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘আমাদের চারপাশে বোমাবর্ষণ হচ্ছিল। উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিক থেকে। আমরা একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে ছিলাম তাই বেঁচে গেছি। দোকানের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা মেরামতের চেষ্টা করছি।’
তবে স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীরা আশা করছেন জুলাই এর মাঝামাঝি থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত বিশেষ এই দ্বীপটি ভ্রমণ করতে আসবেন পর্যটকরা। যদিও সংঘাতের আশঙ্কা ভাবাচ্ছে তাদের। গেল ১৩ জুন ইরান-ইসরাইল সংঘাতের কারণে বিদেশি পর্যটকদের রিজার্ভেশন স্থগিত করতে হয় তাদের।