মার্কিন রপ্তানি পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া

গরুর মাংস
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
বিদেশে এখন
0

এবার মার্কিন রপ্তানি পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা গরুর মাংসের গুণগত মান ও প্যাকেটজাতের সময় নিয়ে অভিযোগ তাদের। এতে করে মার্কিন পণ্য বিমুখ হচ্ছেন দেশটির ভোক্তারা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চ হারে শুল্কারোপের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরইমধ্যে যুক্তরাজ্য, চীন, ভিয়েতনাম দেশটির সঙ্গে চুক্তি করে তাদের শুল্কহার কমিয়েছে কয়েকগুণ। আর সেই পথেই হাঁটছে বাংলাদেশসহ ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আরও বেশ কয়েকটি দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির অন্যতম শর্ত এসব দেশে বিনা শুল্কে মার্কিন পণ্য রপ্তানি হবে। মূলত বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর অজুহাত দেখিয়ে এসব দেশকে এ শর্ত মানতে বাধ্য করছেন ট্রাম্প ।

তবে এবার মার্কিন পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা গরুর মাংসের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দেশটির ভোক্তা ও ক্রেতাদের মধ্যে। অভিযোগ উঠেছে এক মাসের বেশি পুরোনো মাংস পাঠানো হচ্ছে দেশটিতে। এতে খাবারের গুণগত মান ও স্বাদে ব্যাপক ফারাক ধরা পড়ছে।

ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘এই পাশে দক্ষিণ কোরিয়ার গরুর মাংস রয়েছে, এই পাশে যুক্তরাষ্ট্রের মাংস। এক ঝলকেই বিষয়টি বোঝা না গেলেও এর স্বাদে অনেক ভিন্নতা রয়েছে।’

ভোক্তা ছাড়াও যারা ব্যবসায়ী রয়েছেন তারাও যুক্তরাষ্ট্র থেকে গরুর মাংস আমদানিতে অনীহা জানিয়েছেন।

ক্রেতাদের আরেকজন বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে কী আমদানি করা হবে তা বাছাই করার অধিকার আমাদের রয়েছে। কোরিয়ার মানুষ বেশি বয়সের গরুর মাংস পছন্দ করে না। তাহলে কেন ধরনের মাংস দূর দেশ থেকে আমদানি করতে আমরা বাধ্য।’

দেশটিতে আগামী বছর থেকে জিরো শুল্কের আওতায় মার্কিন পণ্য রপ্তানি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি এধরনের কম মানের পণ্য পাঠায় এতে মার্কিন পণ্য বিমুখ হয়ে পড়বে ভোক্তারা।

সেজু