৩ লাখ ডলারের রুশ ড্রোন ধ্বংস করছে ৪০০ ডলারের ইউক্রেনীয় এফপিভি, আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

লক্ষ্যভেদ করছেন একজন ইউক্রেনীয় সেনা
বিদেশে এখন
0

৩ লাখ ডলারের রুশ মার্লিন ড্রোনকে সফলভাবে ভূপাতিত করছে মাত্র ৪০০ ডলারের ইউক্রেনীয় এফপিভি ড্রোন। তাই দূরপাল্লার মিসাইলের বিনিময়ে কিয়েভের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যের ড্রোন কিনতে চায় ওয়াশিংটন। এরইমধ্যে ড্রোন ইন্টারসেপ্টর প্রোগ্রামের জন্য ৬ কোটি ডলারের বেশি বরাদ্দ করেছে জেলেনস্কি প্রশাসন।

ইউক্রেনের আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে রাশিয়ার রিকোনিসেন্স ড্রোন। যাকে ধাওয়া করার সময় বন্ধ হয়ে গেলো লাইভ স্ট্রিম। অর্থাৎ সফলভাবে ভূপাতিত হয়েছে প্রতিপক্ষের ড্রোন।

তৃতীয় বছরে এসে রাশিয়া ইউক্রেনের মূল লড়াই আকাশে। মস্কো ও কিয়েভে প্রতিদিন চলছে হামলা-পাল্টা হামলা। যাতে বড় ভূমিকা রাখছে ড্রোন। রাশিয়ার প্রতিটি মার্লিন ড্রোনের মূল্য ৩ লাখ ডলার। বিপরীতে ইউক্রেনের ফার্স্ট পারসন ভিউ বা এফপিভি ড্রোনের দাম মাত্র ৪০০ ডলার। তাই এই সফল কৌশলকে আয়ত্তের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের মতো সামরিক শক্তিধর দেশগুলো।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, ‘যখন থেকে শত্রুর ড্রোনের বিপরীতে এফপিভি ড্রোন ব্যবহার শুরু করলাম, তখন স্বভাবতই আমাদের ওপর থেকে হুমকি অনেকটা কমে গেছে। আমাদের কাজ আকাশকে সুরক্ষিত রাখা। যেহেতু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে, সে যায়গায় এফপিভি ড্রোনগুলো সফলভাবে কাজ করছে।’

গেলো জুনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অপারেশন স্পাইডার ওয়েব পরিচালনা করে ইউক্রেন। মাত্র ১১৭টি এফপিভি ড্রোনের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয় মস্কোর ৪১টি এয়ারক্রাফট। অপারেশনে গুণমুগ্ধ হয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে চুক্তিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন বলছে, দূরপাল্লার মিসাইলের বদলে কিয়েভের কাছ থেকে এফপিভি ড্রোন কিনতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ ইউক্রেনের ৪০০ ডলারের ড্রোন তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ ছাড়িয়ে যায় ৫ হাজার ডলার।

আরও পড়ুন:

বর্তমানে ইউক্রেনের ১১ শ’ ২৯ তম এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট এফপিভি বা ইন্টারসেপ্টর ড্রোনের তদারকি করছে। তাদের দাবি, যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ার ড্রোনগুলো ইউক্রেনের ভূমির মাত্র ৮০০ মিটারের মধ্যে নেমে আসতে পারতো। তবে এফপিভি ড্রোনের সফল প্রতিরক্ষা কারণে ৫ হাজার মিটার উচ্চতার নিচে নামা সম্ভব হচ্ছে না।

ইউক্রেন প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, ‘তারা ৫ হাজার মিটার উচ্চতার নিচে নামতে পারছে না। পাশাপাশি ড্রোনের জুম করার সক্ষমতাও বেশি নয়। তাই তাদের সফলতার হার নেমে এসেছে। রাশিয়ানরা দৈনিক ৭০০ থেকে ১০০০ ড্রোন হামলার পরিকল্পনা করছে। আমরা সবগুলো ড্রোনই ভূপাতিত করার সক্ষমতা রাখি।’

জুলাইয়ের শুরুতেই ড্রোন ইন্টারসেপ্টর প্রোগ্রামের জন্য ৬২ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে জেলেনস্কি প্রশাসন। এছাড়াও আগামী ৬ মাসের মধ্যে মেড ইন ইউক্রেন অস্ত্রের ব্যবহার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে পরিকল্পনা।

ইএ