অভিবাসীদের জন্য ল্যান্ড অফ অপরচুনিটি হিসেবে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর পাল্টেছে পরিস্থিতি। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে প্রতিনিয়তই হেনস্তার শিকার হচ্ছে অবৈধ ও বৈধ অভিবাসীরা। জোরপূর্বক বিতাড়িতের তথ্যও মিলেছে। এবার এ তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছেন মার্কিন ভিসাধারীরা।
সাড়ে ৫ কোটির বেশি মার্কিন ভিসাধারীর রেকর্ড পর্যালোচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। বার্তা সংস্থা এপির প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আইন লঙ্ঘনের তথ্য পাওয়া গেলে ভিসাধারী ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে বলেও নিশ্চিত করা হয়। আইন লঙ্ঘনের মধ্যে রয়েছে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া, অপরাধ চক্র কিংবা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়ানো, জনসাধারণের জন্য হুমকিতে পরিণত হওয়া ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন প্রদান। রেকর্ড পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভিসাধারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খতিয়ে দেখা হবে। যাতে ফিলিস্তিনপন্থী ও ইসরাইল বিরোধী ব্যক্তিদের ভিসা বাতিলে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:
এর আগে বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক ট্রাক চালকদের ভিসা দেয়া স্থগিতের ঘোষণা দেন মার্কো রুবিও। বিদেশিদের জন্যে মার্কিন ট্রাক চালকদের জীবিকা নষ্ট হচ্ছে বলে এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর ৪ লাখ নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। ইতোমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা।
এদিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে অপরাধের বিরুদ্ধে ক্র্যাক-ডাউনকে সফল বলে অভিহিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউএস পার্ক পুলিশ হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের জন্য ওয়াশিংটন ডিসি এখন সুরক্ষিত। রাজধানীর মতো বাকি অঞ্চলগুলোয় একই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা কোনো খেলা খেলছি না। রাজধানীকে প্রথমে সুরক্ষিত করবো। পরবর্তীতে বাকি অঞ্চলগুলোয় যাবো। এটি আমাদের রাজধানী। ওয়াশিংটন ডিসিকে নিখুঁত করতে চাই। শহরটি দীর্ঘদিন ধরে ভয়ঙ্কর অপরাধে জর্জরিত ছিলো।
পাবলিক সেফটি ইমারজেন্সি জারির মাধ্যমে ন্যাশনাল গার্ড ও ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন ওয়াশিংটন ডিসির বাসিন্দারা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেশকিছু সড়ক অবরোধ করেন কয়েকশ বিক্ষোভকারী। এসময় ট্রাম্পের পদত্যাগের দাবিও জানানো হয়।