গেল শতকের মাঝামাঝি যুক্তরাজ্যে যাত্রা শুরু হয় গিনেস ওর্য়াল্ড রেকর্ডসের। আইরিশ বিয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ব্রিউয়ারির ব্যবস্থাপক হিউ বিউভার খুঁজছিলেন ইউরোপের সবচেয়ে দ্রুতগতির গেম বার্ডের নাম। কোনো বইয়ে সে উত্তর না পেয়ে, তিনি লন্ডনের দুই যমজ ভাই নরিস ও রস ম্যাকহুইটারকে দায়িত্ব দেন একটি তথ্যভিত্তিক বই তৈরি করার।
১৯৫৫ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম গিনেস বুক অব রেকর্ডস, আর ক্রিসমাসের আগেই তা পৌঁছে যায় বেস্টসেলার তালিকার শীর্ষে।
আজ গিনেস শুধু একটি বই নয়— বিশ্বব্যাপী একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রতিবছর প্রকাশিত বই ছাড়াও রয়েছে এর টেলিভিশন শো, জাদুঘর আর বিশ্বজুড়ে নতুন রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ।
দীর্ঘকায় ব্যক্তি, দীর্ঘস্থায়ী প্ল্যাংক এমনকি হাতে হেঁটে গাড়ি টেনে নেয়ার মতো অভিনব কীর্তিও স্থান পায় এই বইয়ে। শুধু মানুষই নয়, গিনেসে জায়গা করে নিয়েছে প্রাণীরাও। স্কেটবোর্ডে হিউম্যান টানেল পার হওয়া কুকুর অটো, কিংবা সর্বোচ্চ উঁচুতে লাফ দেয়া লামা কাস্পাও জায়গা করে নিয়েছে গিনেসের পাতায়।
আরও পড়ুন:
৭০ বছর পূর্তিতে গিনেস কর্তৃপক্ষ ফিরে গেছে পুরোনো সেই কিংবদন্তি রেকর্ডধারীদের কাছে— জানতে চেয়েছে, কীভাবে গিনেসে নাম ওঠা বদলে দিয়েছে তাদের জীবন। এদেরই একজন ব্রায়ান বার্গ। যিনি কার্ড দিয়ে সবচেয়ে উঁচু বাড়ি বানিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন।
ব্রায়ান বার্গ বলেন, ‘১৯৯২ সালে প্রথম রেকর্ড গড়ি। তখন বুঝতেই পারিনি এটা আমার জীবন পাল্টে দেবে।’
জিমন্যাস্ট থেকে অভিনেতা হওয়া নাজি রিচার্ডসনের জন্যেও গিনেসে নাম ওঠা মানে ছিলো ‘অসম্ভবকে সম্ভব করা’ অতিমানবীয় এক ব্যাপার।
নাজি রিচার্ডসন বলেন, ‘আপনি যখন এমন কিছু করবেন যা আগে কেউ করেনি, সেটা এক অন্যরকম অনুভূতি।’
৭০ বছর ধরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস দেখিয়ে দিয়েছে— সীমানা আসলে মানুষের মনের ভেতরে। আর একবার সেটা পার হতে পারলেই, তৈরি হয় ইতিহাস।