পুলিশ জানায়, সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে একজন যুবক স্কুল ভবনের পাশে গিয়ে গির্জার জানালা লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। বন্দুকধারীর সঙ্গে ছিল একটি রাইফেল, একটি শটগান ও একটি পিস্তল। গুলির পর সে গির্জার পেছনে গিয়ে আত্মহত্যা করে।
মিনিয়াপোলিস পুলিশ প্রধান ব্রায়ান ও’হারা বলেন, ‘এটি ছিল পরিকল্পিত সহিংসতা। বন্দুকধারী তিনটি অস্ত্র থেকে গুলি চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
সকালে গির্জায় চলছিল শিক্ষাবর্ষের প্রথম সপ্তাহ উপলক্ষে ধর্মীয় প্রার্থনা। সেখানেই শিশুদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে দুজন শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর গির্জা ও স্কুল চত্বরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়। উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাই সন্তানদের খোঁজে ছুটে আসেন।
আরও পড়ুন:
মিনিয়াপোলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে বলেন, ‘এই শিশুরা প্রার্থনারত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। স্কুল ও গির্জার মতো নিরাপদ স্থানেও এখন নিরাপত্তাহীনতা ভর করেছে। এটি একটি জাতীয় ব্যর্থতার চিত্র।’
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৬৮টি গণ বন্দুক হামলা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬২ জন, আহত হয়েছেন ১ হাজার ১৬১ জন।
এ বছরের মধ্যে স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্দুক হামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩টি। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন শিক্ষার্থী, আহত হয়েছেন আরও ৪১ জন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘এ দুঃখজনক ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত আছি। দয়া করে সবাই প্রার্থনা করুন।’
তিনি মিনেসোটা গভর্নরের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সমবেদনা জানান।
এদিকে, বন্দুকধারীর পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ তার ফেলে যাওয়া ডিভাইস ও নথিপত্র ঘেঁটে হামলার উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে কাজ করছে।