রাভি নদীর পানি বাড়তে থাকায় তীব্র বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার কারণে নয় লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। নিরাপদে নেওয়া হয়েছে প্রায় ছয় লাখ গবাদি পশুও।
৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবে বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সতর্কতায় বন্যার্তদের আরও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। বন্যা সংকটের কারণে পাঞ্জাবের উপনির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন:
আগামীকাল (রোববার, ৭ সেপ্টেম্বর) থেকে রাজধানী ইসলামাবাদেও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাঞ্জাব থেকে সিন্ধ প্রদেশে পানি প্রবেশ করতে পারে বলেও আশঙ্কা দুর্যোগ ব্যবস্থাপক কর্তৃপক্ষের।
বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফসহ ফেডারেল মন্ত্রী ও সেনাবাহিনী প্রধান।
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিবেশি ভারতও ভয়াবহ বন্যায় বিপদের মুখোমুখি। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং ভারতশাসিত পাঞ্জাবসহ উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিতে সীমান্তের দু’পাশের নদীগুলোর পানি বাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। কাজ না থাকায় জীবন-জীবিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুক্তভোগীরা।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বন্যার বিষয়ে কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।