ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনার প্রায় এক মাস হতে চললো। তবে সংঘাত বন্ধে কোনো অগ্রগতি নেই। উল্টো বেড়েছে রাশিয়ার হামলার তীব্রতা। গত শনিবার রাতে আট শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা চালায় রাশিয়া। এতে ইউক্রেনের একটি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুদ্ধ শুরুর পর এবারই প্রথম কিয়েভের সরকারি কোনো ভবনে হামলা চালালো মস্কো।
এ অবস্থায় রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউএস ওপেন থেকে নিউইয়র্কে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, শিগগিরই কথা বলবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। রাশিয়ার গণমাধ্যমের খবর বলছে, এ সপ্তাহেই হতে পারে এই আলোচনা। আর সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘খুবই তাড়াতাড়ি আলোচনা হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই। রাশিয়া ইউক্রেন পরিস্থিতি আমরা শেষ করতে যাচ্ছি। আমি নিশ্চিত যে, আমরা এটি শেষ করতে যাচ্ছি।’
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার ও বুধবার আলাদাভাবে ইউরোপীয় নেতারা যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে পারেন। ট্রাম্প জানান, এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে না। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা প্রস্তুতির কথা জানান ট্রাম্প।
এদিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানান, রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে হোয়াইট হাউজ। পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য ইউরোপীয় নেতাদের পাশে চায় ওয়াশিংটন।