শুরুতে অনড় থাকলেও জেন-জির তুমুল বিক্ষোভের মুখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সোমবার মধ্যরাতে কেবিনেট সদস্যদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন তিনি। তার এ বৈঠকের পরই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা জানান দেশটির তথ্য ও যোগাযোগ-মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং।
যদিও সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চায়নি সরকার। পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে সহিংসতার ইস্যুতে এরইমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তারা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যাদের প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে। তবে জেন-জির প্রতি আহ্বান জানায়- বিক্ষোভের ইতি টানার।
সরকারের এ আহ্বানকে থোরাই কেয়ার করছে নেপালের তরুণ প্রজন্ম। এরইমধ্যে রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। কারণ হিসেবে বলছে, তাদের এ বিক্ষোভ শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ নয় বরং ক্ষমতাসীন সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
নেপালজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, এক্সসহ প্রায় ২৬ টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধে জেরে সোমবার সকাল থেকে রাজপথে বিক্ষোভে নামে জেন-জি। দুপুরের দিকে পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাওয়ের চেষ্টা করে তারা। তাদের বাধা দিলে এক পর্যায়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। তাদের দমাতে গুলি, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। আর এতেই ঘটে হতাহতের ঘটনা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ তাদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি করেছে পুলিশ। আর এখনও পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন তাদের সবাই পুলিশের গুলিতেই নিহত হন।
এরইমধ্যে হতাহত ছাত্র-জনতার নৈতিক দায় কাঁধে নিয়ে ক্ষমতা ছেড়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক।