ঘুঘুর সঙ্গে মিশরীয় যুবকের অনন্য বন্ধন

ঘুঘু নিয়ে আবদেল রহমান ইসমাইল
আফ্রিকা
বিদেশে এখন
0

ঘুঘুর সঙ্গে মানুষের এক অনন্য বন্ধন। মিশরীয় এক যুবকের দৈনন্দিন সঙ্গী সাদা প্রজাতির এক ঘুঘু। রাস্তায় পথ চলা থেকে শুরু করে সব কাজেই নাম ধরে ডাকলে দ্রুত কাছে আসে সে। দেড়বছর ধরে গড়ে উঠেছে পাখি-মানুষের এই সখ্যতা।

শোলে সিনেমার অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র'র বন্ধুত্বের কথা সবারই জানা। তবে, মানুষের সঙ্গে মানুষের নয় বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে মানুষের সঙ্গে এক ঘুঘু পাখির।

তেইশ বছর বয়সী মিশরের যুবক আবদেল রহমান ইসমাইল। তার রয়েছে বিরল এক সাদা প্রজাতির ঘুঘু, ভালোবেসে যার নাম দিয়েছেন বন্ডক। চলার পথে এখন তার নিত্যদিনের সঙ্গী এই ঘুঘু পাখি। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ঘুরে বেড়ানো ও বাইক রাইড। সবখানেই হাজির এই ঘুঘু।

কায়রোর একটি ক্লাবে জিমন্যাস্টিক্স কোচের দায়িত্বে থাকা এই যুবক জানান, ভালোবেসেই তিন বছর আগে থেকেই ঘুঘুদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেন তিনি। ট্রেনিংয়ে অনেক পাখি হারিয়ে গেলেও সাদা এই বন্ডকের সঙ্গে তার গড়ে উঠেছে নিবিড় সখ্যতা। শুরুতে যানবাহনের শব্দে ভয় পেলেও এখন মুক্ত আকাশে দাপিয়ে বেড়ায় এই ঘুঘু।

ইসমাইল বলেন, ‘আমি তিন বছর ধরে ঘুঘুদের মুক্তভাবে উড়তে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। বন্ডকের বয়স দেড় বছর। আমি যখন আমার মোটরসাইকেলে থাকি তখন এটি আমার পেছনে পেছেনে উড়তে থাকে। ও অনেক কিছু করার জন্য প্রশিক্ষিত, ও আমার ডাকে সাড়া দেয়, আমি ওকে অন্য কারও কাছে রেখে যেতে পারি এবং আমি যখনই তাকে ডাকি তখনই সে আমার কাছে আসবে। এটি কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ কারণ পাখিটি মুক্ত এবং যে কোনও সময় উড়ে যেতে পারে। তবে সব নির্ভর করে আপনি পাখিটিকে কতটা ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, ততটা ভালোবাসেন এবং পাখিটি আপনাকে কতটা ভালোবাসে তার ওপর।’

কায়রোতে এক বন্ধুর ছাদের ওপর অন্যান্য পাখিদের সঙ্গেই ঘুঘুদের বসতি গড়ে তুলেছেন ইসমাইল। নিজের অবসর সময়ে পাখিদের মধ্যেই সান্ত্বনা খুঁজে নেন এই যুবক।

ইসমাইল বলেন, ‘ঘুঘুটি আগে রাস্তায় বের হতে ভয় পেত। ও মানুষ, গাড়ির শব্দে চমকে যেতো। আমি ওকে অভ্যস্ত করতে শুরু করি এবং ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণ দিই। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, পাখিটি এখনও আমার সঙ্গে রয়েছে।’

টাম্বলার ঘুঘুর একটি বিরল প্রজাতি বন্ডক। দেড় বছর আগে জন্ম নেয়ার পর থেকেই ইসমাইলের সাথে রয়েছে এই ঘুঘুটি।

এসএস