ভারতে আইনে পরিণত হলো বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল। নতুন আইনে ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনা বোর্ডে থাকছে অমুসলিমরাও। কোনো জমি ওয়াকফ কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক। এছাড়া, জমির মালিকানা যাচাইয়ের নিয়ন্ত্রণ থাকবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের হাতে। এই সুযোগে পুরোনো মসজিদসহ বহু ঐতিহাসিক স্থাপনা বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বলছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কমবে দুর্নীতি এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আসবে বৈচিত্র্য। তবে সমালোচকদের মতে, বিলটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকারে আঘাত হানবে। ফলে বাড়বে সহিংসতা।
রোববার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিধায়কেরা। বিলের কপি ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান তারা। তাদের সঙ্গে কংগ্রেস ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা কালো ব্যাজ পরে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় বিধানসভার ভেতরেই শুরু হয় হট্টগোল।
ওয়াকফ আইন নিয়ে আলোচনার জন্য প্রশ্নোত্তর পর্ব স্থগিতের প্রস্তাব করেন বিধায়কেরা। সংসদের ভেতরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতবি করেন স্পিকার আব্দুল রহিম রাঠের। পরে কার্যধারা পুনরায় শুরু হলে আবারও হট্টগোল বাধে।
এদিকে বিক্ষোভের মধ্যেই মণিপুর সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আসকার আলীর বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে সমর্থন করার অভিযোগে এই বিজেপি নেতার বাড়িতে ধরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া, রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলসহ বিভিন্ন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ।
ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। বেশ কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের খবরও পাওয়া গেছে।