অপারেশন সিঁদুর, পাকিস্তানের ৯টি স্থানে চালানো ভারতীয় তিন বাহিনীর অপারেশন। মধ্যরাতের এই অভিযানে একযোগে অংশ নেয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী আর নৌবাহিনী। দাবি করা হয়, পেহেলগামে বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সন্ত্রাসী ঘাঁটি গুড়িয়ে দিতেই এই হামলা হয়েছে পাকিস্তানে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে, কীভাবে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করলো তিন বাহিনী। প্রথমে গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি শনাক্ত করা হয়। এরপর ভারতীয় বাহিনী স্থান নির্বাচন করে, যেখান থেকে পাকিস্তানে হামলা করা হবে। মধ্যরাতে তিন বাহিনী একযোগে চালায় যৌথ অভিযান। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেসামরিক কোনো স্থাপনা, সামরিক কোনো ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। তবে পাকিস্তানের দাবি, হামলা হয়েছে বেসামরিক স্থাপনা এমনকি মসজিদও।
এই হামলায় ভারত ব্যবহার করেছে ফ্রান্সের রাফালে, রাশিয়ার মিগ টুয়েন্টি নাইন ও রুশ সু থার্টি ফাইটার জেট। এর মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেয় পাক সেনাবাহিনী। বিপরীতে পাকিস্তান ছোড়ে আর্টিলারি। ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো ২৪৪ জেলায় সামরিক মহড়া পরিকল্পনার কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তানে এমন ভয়াবহ হামলা চালালো ভারত। সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির দাবি, এই হামলায় যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে দূরপাল্লার স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র। আড়াইশ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা দিয়ে কোন স্থাপনার গভীরে হামলা চালানো সম্ভব।
ব্যবহৃত হয়েছে হ্যামার স্মার্ট বোমা। বাঙ্কার আর বহুতল ভবনে হামলার জন্য ব্যবহৃত হয় এই বোমা। এই বোমা ব্যবহার করা হয়েছে লস্কর ই তৈয়বা আর জইশ ই মোহাম্মদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আর অস্ত্রের গুদাম গুড়িয়ে দিতে। এই বোমা ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলায় সক্ষম। ব্যবহৃত হয়েছে কামিকাজে ড্রোন, যেগুলো শত্রুপক্ষের স্থাপনা ধ্বংসে এখন পর্যন্ত বেশ কার্যকরী।