কোভিড-১৯ এর নতুন ঢেউ: ভারতে ৫৯ ও থাইল্যান্ডে ৭০ জনের প্রাণহানি

কোভিড-১৯ এর নতুন ঢেউয়ে সারাবিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে
স্বাস্থ্য , এশিয়া
বিদেশে এখন
0

কোভিড-১৯ এর নতুন ঢেউয়ে ভারতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ জনে। থাইল্যান্ডে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৭০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও কোভিড টিকার সবকটি ডোজ নেয়া ব্যক্তিরা ভাইরাসটি থেকে সুরক্ষিত বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

২ বছর পর প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে ভারতজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে কোভিড-১৯। শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসটিতে শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

গেলো দেড় মাসে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রতি মুহূর্তে দেশটির হাসপাতালে আসছেন রোগীরা। আর পরীক্ষার পর মিলছে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। 

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২২ মে থেকে শুরু হয়েছে কোভিডের নতুন ঢেউ। এসময় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার। আর প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।

কোভিডের নতুন ঢেউয়ের শিকার দেশটির ২৯টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে কেরালায়। তারপরেই অবস্থান করছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক।

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির তথ্যও মিলেছে। রোগীদের শরীরে মিলেছে জেএন-১, এক্সএফজি, এলএফ-৭ ও এনবি ১.৮.১ সাব ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো অমিক্রনের মিউটেটেড সাব ভ্যারিয়েন্ট. যা কোভিডের অন্যান্য সাব ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে কম বিপজ্জনক। কোভিড টিকার সবকটি ডোজ নিয়ে থাকলে সুরক্ষিত থাকা যাবে। এ ছাড়াও উপসর্গ দেখা দিলে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

ইএসআই মানিকতলার চিকিৎসক ডা. শায়ন মিশ্র বলেন, ‘ভ্যাকসিন ব্যবহারে যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্টগুলো তা পার করতে পারে না। তাই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৫ থেকে ৭ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে। মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি হাত পরিষ্কার রাখতে হবে।’

ভারত ছাড়াও কোভিডের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে। চলতি মাসের প্রথম দুইদিনে থাইল্যান্ডে শনাক্ত হয়েছে ২৮ হাজারের বেশি নতুন রোগী। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে অর্ধশতাধিক। 

উপসর্গ দেখা মাত্রই হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও ভিয়েতনাম, চীন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও মিলেছে ভাইরাসের উপস্থিতি।

এসএইচ