এক বছর পূর্ণ হবার আগেই ভেঙে গেলো পেতাংতর্ন সিনাওয়াত্রার শাসন। ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালতে চলছিল পেতাংতর্নের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করার মামলা। যেখানে নয় বিচারকের মধ্যে সাতজনই নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার পক্ষে রায় দেন।
গেলো ২৮ মে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের সেনারা। এসময় গোলাগুলিতে এক কম্বোডিয়ান সেনা নিহত হন। এরপরই দেশটির সিনেট প্রেসিডেন্ট হুন সেনের সঙ্গে কথা বলেন থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতর্ন। যেখানে ফাঁস হওয়া ফোনালাপে পেতাংতর্ন নিজ দেশের সেনাবাহিনীর এক কমান্ডারকে সমালোচনার পাশপাশি অবজ্ঞাসূচক মন্তব্য করেন। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্টের ইচ্ছা জানতে চান। একে দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের শামিল হিসেবে উল্লেখ করেছেন আদালত।
স্বপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত পেতাংতর্নকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন। রায় ঘোষণার একদিন আগেই ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় ক্ষমা চান তিনি। ফোনালাপের কথপোকথনকে সমঝোতার পদ্ধতি হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাশি আদালতের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন থাই প্রধানমন্ত্রী। ধারণা করা হচ্ছে, উপপ্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জং রুংরুয়াংকিট ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে ফোনালাপ ফাঁসের পর থেকেই পেতাংতর্নের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল ছিলো থাইল্যান্ডের রাজপথ। জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যায় প্রধান শরীক দল। এছাড়াও পেতাংতর্নের বিরুদ্ধে চলছে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল বাধ্য হয়ে আগাম নির্বাচনের ডাক দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মাত্র ১০ মাস আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাইল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়েছিলেন পেতাংতর্ন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে সাংবিধানিক আদালত পদচ্যুত করার মাত্র দুই দিন পর গেলো বছর অগাস্টে দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।